চিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে অকপট ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত নিজের অবস্থানে অনড় থাকবে। পাশাপাশি তিনি জানান, চিনের সঙ্গে ভারতের গুরুতর পর্যায়ে বিরোধ রয়েছে বর্তমানে। সীমান্তে এখনও উত্তেজনা রয়েছে বলেও জানান বিদেশমন্ত্রী। জয়শংকর বলেন, 'চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয় এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকলে তা স্বাভাবিক হতেও পারবে না।' (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনে নয়া মোড়, বৈশাখেই যৌথ মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বসবে '১২ জুলাই কমিটি')
জয়শংকর বলেন, '২০২০ সালে তখন কোভিড অতিমারি চলছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিপুল সংখ্যায় সেনা জওয়ান এবং বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান সীমান্তে মোতায়েন করেছিলেন। তিনি তা নিয়ে কোনও দ্বিধা বোধ করেননি। কারণ চুক্তি লঙ্ঘন করে প্রতিবেশী দেশ যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে তাহলে তার পালটা জবাব সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেই দেওয়া যায়।' বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমাদের জওয়ানদের যখন চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছিল, তখন তাঁদের দেখাশোনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। পাশাপাশি তারা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছিলেন, তা মোকাবিলা করার জন্য তাঁদের কাছে সঠিক ধরনের সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছিল। সীমান্তে সন্তোষজনক সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয়ী। তা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য যা প্রয়োজন, তাই করা হবে।' (আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়া আরও সহজ হল, বড় নিয়ম বদল করল রাজ্য সরকার)
আরও পড়ুন: রেশন তোলার নিয়মে 'আমূল পরিবর্তন', রাজ্য সরকারকে 'বাইপাস' করে কী জানাল কেন্দ্র?
ভারতের প্রতিবেশীদের সম্পর্কে জয়শংকর বলেন, 'আমাদের অনেকগুলি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। অধিকাংশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক মধুর। তবে দু'টি দেশের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে। এটা মেনে নিতে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সমস্যা সবার জানা। তাদের সঙ্গে আমাদের যতটা ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিল, তার থেকে বেশি ধৈর্য দেখিয়েছি আমরা। আমাদের দৃঢ় থেকে তাদের আসল চেহারা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে। ২০১৪ সালের পর থেকে আমরা এই বিষয়ে কোনও ভাবে দ্বিধায় ভুগিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চিরকার আমরা সুর চড়িয়ে এসেছি। সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবে মেনে নেওয়া যায় না।'