কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না। সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। ওই বিষয় নিয়ে আপাতত রাজ্যের বক্তব্য শোনার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ ব্যক্তিগত আইনের বিষয়টি আসছে না।
সমলিঙ্গে বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য যে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানির বিরোধিতা করেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি সওয়াল করেন, সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ। আদালতের থেকে সমলিঙ্গ বিবাহের যে স্বীকৃতি চেয়েছেন মামলাকারীরা, তা সম্পূর্ণ ভুল প্রক্রিয়া। আদালতের কাছে সেই ক্ষমতা নেই। সেজন্য ওই পিটিশনগুলি না শোনার আর্জি জানান সলিসিটর জেনারেল। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, যে আইনি অভিপ্রায় আছে, সেটা স্পষ্ট। তাতে স্পষ্ট যে শুধুমাত্র জৈবিকভাবে পুরুষ এবং জৈবিকভাবে মহিলাই বিয়ে করতে পারেন।
যদিও সলিসিটর জেনারেলের সেই যুক্তিতে একেবারেই সন্তোষ প্রকাশ করেনি সপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে যে নীতিপুলিশের কাজ করছেন সলিসিটর জেনারেল। ‘এটা থেকে মনে হচ্ছে যে জৈবিক পুরুষ এবং জৈবিক মহিলা….এটা ভুল। (কোন কোন শর্তে কেউ) পুরুষ বা মহিলা হবেন, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও ধারণা নেই। এটা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গের গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকতে পারে না। এই বিষয়টা তার থেকে অনেক বেশি জটিল। কে পুরুষ এবং কে মহিলা, সেটার ধারণা শুধুমাত্র আপনার যৌনাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।’
তারইমধ্যে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলার ক্ষেত্রে যেহেতু আইনসভা জড়িত আছে, তাই স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় সমলিঙ্গের বিয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার মধ্যে মামলার বৃত্ত আটকে রাখা হবে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)