সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বুধবার ওড়িশা হাই কোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরকে মাদ্রাজ হাইকোর্টে বদলি করা নিয়ে আগের সুপারিশ কার্যত ফিরিয়ে নিল। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এনিয়ে একটি রেজলিউশন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বিচারপতি মুরলিধরের হাতে চার মাসের কম সময় রয়েছে তার বর্তমান অফিস ত্যাগ করার জন্য। কিন্তু কেন আগের সুপারিশ ফিরিয়ে নেওয়া হল?
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার এখনও এটাকে ফেলে রেখে দিয়েছে। জানিয়েছে কলেজিয়াম।
২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কলেজিয়াম সুপারিশ করেছিল, ওড়িশা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস মুরলীধরকে মাদ্রাজ হাইকোর্টে বদলি করতে হবে। তারপর থেকে সরকার একেবারে এনিয়ে কোনও জবাব দেয়নি। কার্যত মুখে কুলুপ। এদিকে বিচারপতি মুরলীধর আগামী ৭ অগস্ট তাঁর অফিস ত্যাগ করছেন।
এই দেরির জেরে ডঃ বিচারপতি এস মুরলীধর বদলি সংক্রান্ত সুপারিশটি কার্যত ফিরিয়ে নিল কলেজিয়াম। সেক্ষেত্রে এবার বিচারপতি এসভি গঙ্গাপুরওয়ালাকে মাদ্রাজ হাই কোর্টের স্থায়ী প্রধান বিচারপতি পদে বসানোর বিষয়টি সহজতর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে কলেজিয়াম প্রসঙ্গে আগেই মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন, গত তিনবছরে সরকার অন্তত ১৮টি কলেজিয়াম প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬টি প্রস্তাবকে ফের বজায় রেখেছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর মতে, সাতজন বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে শূন্যস্থান এখনও রয়েছে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য ৩৪ বিচারপতির বেঞ্চে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, ৩০জানুয়ারি পর্যন্ত ১১০৮জন অনুমোদিত বিচারপতি পদের মধ্যে ৭৭৫জন বিচারপতি কর্মরত রয়েছেন, ৩৩৩জন বিচারপতির আসন শূন্য রয়েছে। ১৪২টি প্রস্তাব যেটি হাই কোর্ট কলেজিয়াম সুপারিশ করেছিল সেটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ১৪২টি প্রস্তাবের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের কাছে ৪টি পেন্ডিং রয়েছে।