কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তাল রাজধানী। এই পরিস্থিতিতে সরকার ও কৃষক সংগঠনদের নিয়ে কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিল সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে যে আলোচনা হচ্ছে সেই নিয়ে খুব একটা আদালতের যে আস্থা নেই, সেটাও এদিন স্পষ্ট করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। অন্য দিকে কমিটি নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নয় চাষীরা।
তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবিতে নয়াদিল্লির সীমান্তে আন্দোলন চালাচ্ছে চাষীরা। এটি জাতীয় ইস্যু হয়ে যেতে পারে বলে দ্রুত সমস্যা নিরসন করতে বলল শীর্ষ আদালত। এদিন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে আদালত বলেন আপনাদের কথায় তো তেমন কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রধান বিচরপতি বোবডের বেঞ্চে এদিন মামলার শুনানি হয় যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে চাষীরা রাস্তা আটকে রেখেছে ও তাদের উঠিয়ে দেওয়া হোক। এই মামলায় চাষী সংগঠনদের পার্টি করে বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন আদালত সলিসিটার জেনারেলকে জিজ্ঞেস করেন যে কারা ঠিক রাস্তা আটকে রেখেছে। কিছু নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি মেহতা, শুধু যাদের সঙ্গে সরকারের কথা হচ্ছে তাদের কথা বলেন তিনি। তবে এখন আন্দোলনের রাশ অন্যদের হাতে চলে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। কৃষকদের কঠোর মনোভাবের জন্যেই কথা এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তুষার মেহতা।
তখন সুপ্রিম কোর্ট বলে যে এই সমস্যা নিরসন করতে কমিটি গড়া হবে যেখানে সরকার ও কৃষক পক্ষের লোক থাকবে। সারা দেশের কৃষক প্রতিনিধিরা থাকবে বলে জানায় আদালত ও সরকারকে কমিটির প্রতিনিধি কে কে হতে পারে, তার নাম দিতে বলে।
এদিন আদালত বলে যে শাহিনবাগের মামলায় তাদের নির্দেশ এখানো প্রযোজ্য নয় ও সব পক্ষকে না শুনে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না।
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে বিশেষ প্রীত নয় কৃষকরা। রাষ্ট্রীয় কিষান মজদুর সভা যেমন বলেই দিয়েছে যে আইন প্রত্যাহার করতে হবে। নয়া কমিটি করে লাভ নেই। সংযুক্ত কিষান মোর্চার যোগেন্দ্র যাদব বলেন যে তিনটি আইন সংবিধান মেনে রচিত হয়েছে কিনা সেটা আদালত দেখতে পারে কিন্তু মধ্যস্থতায় তাদের যাওয়া উচিত নয়। ৪০টি কৃষক সংগঠন নিয়ে গঠিত এই সংযুক্ত মোর্চা। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নও কমিটির বিপক্ষে রায় দিয়েছে।