ভয়াবহ অভিযোগ সামনে আসছে উত্তর কোরিয়ায়। বলা হচ্ছে উত্তর কোরিয়াতে ছাত্রীদের স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের প্লিজার গ্রুপের সদস্য করে ফেলা হয়। তাদের তখন অফিসারদের যৌন ক্ষুধা মেটানোর কাজে নিয়োজিত করা হয়। আর পরিবারে ফিরতে পারে না তারা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে উত্তর কোরিয়াতে।
এর সঙ্গেই সামনে আসছে কিম জংয়ের বিলাসবহুল জীবনের কথা। সম্প্রতি কিম জংকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে তার ৯ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু অন্য কিশোরীদের সঙ্গে কেন যৌন নির্যাতনের ঘটনা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে কিম জংয়ের নিজের জন্য় ও তার পদস্থ আধিকারিকদের মনোরঞ্জনের জন্য় স্কুলের ছাত্রীদের তুলে এনে প্লিজার গ্রুপে যোগ করানো হয়। এরপর তাদের ব্যবহার করা হয় আমোদ প্রমোদের জন্য।
এদিকে গোপন কথা যাতে বাইরে ফাঁস না হয়ে যায় সেকারণে ওই ছাত্রীদের আর বাড়ি ফিরতে দেওয়া হয় না।
ঠিক কী হয় ওই প্লিজার গ্রুপে?
সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়ার পদস্থ আধিকারিকদের আমোদ প্রমোদের জন্য স্কুলের মেয়েদের নিয়ে একটি গ্রুপ করা হয়েছে। এটাকে সেক্স পার্টি বলেও উল্লেখ করা হয়। আর নর্থ কোরিয়ার ভাষায় এটিকে বলা হয়, কিপ্পোমজি। এখানে প্রায় ২০০০ মেয়েকে আলাদা করে রাখা হয়। অফিসারদের যৌনক্ষুধা মেটানোই তাদের একমাত্র কাজ। এমনভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যে তারা সবকথাতেই হ্যাঁ বলে। আর কিম জংয়ের ভাষায় তারা প্লিজার স্কোয়াড। তাদের বয়স ১৩-৩০এর মধ্য়ে।
এই সুন্দরীদের প্লিজার গার্ল বলে উল্লেখ করা হয়।
কারা এদের বাছেন?
সেনা আধিকারিকরা ও সরকারি আধিকারিকরা তাদের বেছে নেন। তাদের কুমারীত্বের পরীক্ষা নেওয়া হয়। তারা যাতে স্বাস্থ্যবান হয় সেটাও দেখে নেওয়া হয়। বলা হয় কিমের দাদু এটা শুরু করেছিলেন। তারপর থেকেই চলছে এই প্রবনতা। প্রথম গ্রুপটা আধিকারিকদের যৌন ক্ষুধা মেটায়। ন্য়ুড ডান্সে অংশ নেয় একটি গ্রুপ। বয়স বাড়লে তাদের রাঁধুনি বা অন্য় কাজে নিয়োগ করা হয়।
সেনা আধিকারিকরা তাদের উপর কড়া নজর রাখেন। তিন বছর কোনও আধিকারিক এই স্কোয়াডে না এলে তাদের বরখাস্ত করে জেলে ভরা হয়। স্কুলে স্কুলে নজর রাখেন সেনা আধিকারিকরা। সুন্দরী কেউ এলেই তুলে নিয়ে আসা হয় প্লিজার স্কোয়াডে।