রেডিট ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি 'ম্যাকারুন ইল৩৬০১' ইন্ডিগোর বিমানে পরিবেশন করা একটি স্যান্ডউইচে একটি স্ক্রু পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ম্যাকারুন ইল৩৬০১' পোস্টে শেয়ার করেছেন যে বিমানটি বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই যাওয়ার সময় এই স্যান্ডউইচটি পরিবেশন করা হয়েছিল। তবে বিমান থেকে নামার পরই তা খেয়েছেন ব্যবহারকারী।
ম্যাকারুনইল৩৬০১ পোস্টে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ১ ফেব্রুয়ারি। ওই ব্যক্তি আরও দাবি করেছেন যে স্ক্রু পাওয়ার পরে তারা বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু জবাবে ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়, উড়ানের পর স্যান্ডউইচ খাওয়া হয়ে যাওয়ায় এটাকে আর যুক্তিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে না।
পোস্টটি শেয়ার করার পর থেকে বহুজন এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। স্যান্ডউইচের স্ক্রু দেখে চমকে উঠলেন অনেকেই। অনেকেই নানা কথা লিখছেন।
এক ব্যক্তি লিখেছেন, যদি তারা সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া না জানায় তবে আপনি উপভোক্তা আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন! এটা সাধারণ আদালতের মতো কঠিন প্রক্রিয়া নয়। তারা আপনার বক্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য আপনাকে শুনানিতে উপস্থিত হতে বলতে পারে এবং তাদেরও উপস্থিত থাকা উচিত।
'
আরেকজন লিখেছেন, 'দয়া করে এটাকে আইনি মামলা করুন। আপনার স্যান্ডউইচে একটি স্ক্রু থাকার জন্য, তারা তাদের প্যান্ট্রিতে যে প্রোটোকলগুলি অনুসরণ করে তা কল্পনা করুন। ভুল করে গিলে ফেললে কেউ মারা যেতে পারতেন।
'
তৃতীয় আরেকজন বলেন, 'আমার দাঁত দেখলেই ব্যথা হয়। কল্পনা করুন একটি বড় কামড় নিতে, এটি ভয়ঙ্কর, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার!
এদিকে এবারই প্রথম নয়, এর আগে দিল্লি মুম্বই ফ্লাইটে এক বিমানযাত্রীর স্যান্ডউইচে পোকা পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শনিবার এই ঘটনায় ওই মহিলা বিমানযাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থা।
ইনস্টাগ্রামে একটা পোস্ট শেয়ার করা হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছিল, আমি ইমেলের মাধ্যমে দ্রুত একটা অভিযোগ জানাব। কিন্তু একজন জনস্বাস্থ্যবিদ হিসাবে আমি বলতে চাই যে স্যান্ডউইচের গুণগত মান ভালো নেই বলে আগাম বলা সত্ত্বেও তিনি সেই স্যান্ডউইচ অন্যান্য যাত্রীদের দেওয়া শুরু করেন। ওই বিমানযাত্রীদের মধ্যে বাচ্চা, বয়স্ক মানুষরাও ছিলেন। তাঁদের সংক্রমণ হলে কী হবে!
তবে সেই সঙ্গেই ওই মহিলা যাত্রী জানিয়েছিলেন, সচেতন করার জন্য় আমি এটা করলাম। এর সঙ্গে কোনও ক্ষতিপূরণ বা রিফান্ডের কোনও ব্যাপার নেই। শুধু একটা বিষয় নিশ্চিত করুন যে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি ঠিকঠাক রাখা এটা আপনাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা দরকার।
তবে ইন্ডিগো তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছিল, দিল্লি থেকে মুম্বইগামী ওই ফ্লাইটে একজন যাত্রী এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সেটা আমরা জানতে পেরেছি। খাবার ও পানীয়র ক্ষেত্রে যাতে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করা হয় সেটা আমরা বরাবর চেষ্টা করি। তদন্তে দেখা গিয়েছে, যে স্যান্ডউইচটা পরিবেশন করা হচ্ছিল যেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেটা দেওয়া আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সেই সঙ্গেই ইন্ডিগোল তরফে বলা হয়েছে, এই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটা দেখা হচ্ছে। যদি কোনও বাজে ব্যাপার হয়ে থাকে সেটার জন্য় আমরা ক্ষমা চাইছি।
তবে এবার আর পোকা নয়, স্যান্ডউইচে স্ক্রু মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।