ইতিমধ্যে দিল্লিতে করোনাভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ বা দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। তা একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে একইসঙ্গে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, আগামিদিনে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘গত ১ জুলাই থেকে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এবং ১৭ সেপ্টেম্বর নয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৫০০-এ পৌঁছে গিয়েছিল। তবে এখন তা কমছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লিতে যে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তার মাত্রা এখন সর্বোচ্চ। তবে আগামিদিনে সেই মাত্রা কম হবে।’
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার (বৃহস্পতিবারের এখনও দেওয়া হয়নি) পর্যন্ত দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৬,৭৮৯। সেরে উঠেছেন ২২০,৮৬৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫,০৮৭ জনের। অগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজধানীতে নতুন করে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিযেছিল। তবে গত চারদিন (বুধবার থেকে) দৈনিক নয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪,০০০-এর নীচে থাকছে। যা সাময়িকভাবে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমার ইঙ্গিত দিয়েছে। বুধবারে যে সপ্তাহ শেষ হয়েছে, সেখানে পজিটিভিটি হার কমে ৬.৮৯ শতাংশ হয়েছে। তার আগের সাতদিনে সেই হার ছিল ৭.১৮ শতাংশ।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, রাজধানীতে দৈনিক করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে ২০,০০০ পরীক্ষা হত, এখন তা বেড়ে ৬০,০০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘যখন অধিক সংখ্যক কোভিড-১৯ কেসের খবর মিলছিল, তখন কেন্দ্রীয় সরকার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও দিল্লির মানুষের সহায়তায় করোনাভাইরাসকে নিয়্ন্ত্রণ করেছি। আমি প্রত্যেককে তাঁদের চেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।’