বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই দেশজুড়ে নানা রাজ্যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। আবার এখন চলছে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে অসমে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভাঙল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা আজ, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিল বলে তাঁদের দাবি। একইসঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা–সহ ১৫০ জন নানা দলের নেতা–কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন এই যোগদানের পরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপি একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা জাতির জন্য কাজ করে। এখানে কোনও পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি নেই। অসম রাজ্যে কংগ্রেস অনেকদিন ধরেই ক্ষয়িষ্ণু। তবে সেখান থেকে উন্নতি করার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এখানে সংগঠন গড়ে তুলতে কাজ করছে। এমন সময়ে এভাবে ঘর ভেঙে দেওয়ায় অবশ্যই একটা সেটব্যাক ঘটল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ভাঙন অস্বস্তির কারণও বটে। যদিও এই নিয়ে কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। কারা আজ যোগ দিয়েছেন? এই তালিকা তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন অসম মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা এবং কংগ্রেসের দু’জন শীর্ষনেতা দাঁড়িয়ে রয়েছেন দেখা যাচ্ছে। আর সেখানেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি স্বাগত জানাচ্ছি যাঁরা আজ দলে যোগ দিলেন মা ভারতীর সেবা করার জন্য।’ এই যোগদানের মধ্যে কংগ্রেসের ঘরই বেশি ভাঙিয়ে নেওয়া গিয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস থেকে একজন মাত্র শীর্ষনেতা এসেছেন। সব মিলিয়ে ১৫০ জন আজ অসম বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাতে ভোট বাক্সে কতটা প্রভাব পড়বে তার চেয়েও বড় কথা নতুন করে ঘর সাজাতে হবে কংগ্রেসকে। আর সংগঠনের ভাল নেতা খুঁজতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুন: ‘কয়েকজন আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিল’, বিস্ফোরক দাবি জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারকের
আর কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন সুরেশ বোরা, নাগাঁও জেলা কংগ্রেস সভাপতি, পরিতোষ রায় কার্যকরী সভাপতি যুব কংগ্রেস, দিলীপ শর্মা তৃণমূল কংগ্রেসের অসমের সাধারণ সম্পাদক যোগ নিজেদের দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তাঁরা বলে টুইটে জানান হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আর গোটা যোগদান নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি সবসময় জোর দিয়েছি বাস্তবের উপর যে, যাঁরা ভারত এবং অসমের জন্য কাজ করতে চান তাঁদের পরিবারতান্ত্রিক দলে জায়গা নেই। বিজেপি কাজ করে জাতির স্বার্থে।’