১৩ মার্চ একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। সেখানে দেখা যায় এক যুবক একজন মহিলাকে রাস্তায় চুম্বন করে পালাচ্ছে। জানা যায় এটি বিহারের জামুই জেলার ঘটনা। এরপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালাতে শুরু করে।
কুখ্য়াত সেই টিমকে ধরে ফেলল পুলিশ। সংগৃহীত ছবি
ভয়াবহ ঘটনা বিহারে। কার্যত রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল বাসিন্দাদের। অত্যন্ত অপমানজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছিল মহিলাদের। সিরিয়াল কিসারের দাপট হয়েছিল বিহারে। ছুটে এসে চুমু খেয়েই পালিয়ে যেত এই টিমের লোকজন। আর তারই পান্ডা ছিল মহম্মদ আক্রাম। অভিযোগ এমনটাই। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার চারজন সঙ্গীকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আক্রমের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত গোপন ডেরা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঠিক কী করত এরা?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েকমাস ধরেই তারা এলাকায় সক্রিয় হয়েছিল। যে সমস্ত মহিলারা একলা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে টার্গেট করত তারা। তারা প্রথমে ওই মহিলাদের অনুসরণ করত। তারপর জোর করে চুমু খেয়ে পালাত তারা। এদিকে শুধু তাই নয়, ওই যুবকরা একাধিক চুরি ও ডাকাতির ঘটনাতেও জড়িত বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ১৩ মার্চ একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। সেখানে দেখা যায় এক যুবক একজন মহিলাকে রাস্তায় চুম্বন করে পালাচ্ছে। জানা যায় এটি বিহারের জামুই জেলার ঘটনা। এরপরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালাতে শুরু করে। এদিকে ১০ মার্চ ওই মহিলার উপর এভাবে চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই মহিলা স্থানীয় হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। হাসপাতাল চত্বরেই তার সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, আমি তাকে কী করতে পারতাম! সে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আমার উপর। আমি তাকে আটকাই। হাসপাতালের স্টাফদের ডাকাডাকি করি। কিন্তু ততক্ষণে লোকটা পালিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের পাঁচিলটা খুব নীচু। সেটা টপকেই পালিয়ে যায় সে।
এদিকে পুলিশের কাছে এনিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। তারপরই ওই গ্যাংয়ের সন্ধান পায় পুলিশ। এরপরই পুলিশ ওই দলের পান্ডাকে গ্রেফতার করে। ওই গ্যাংয়ের লোকজন একেবারে দিনের বেলা শ্লীলতাহানি করত। তাদের কায়দাটা ছিল অদ্ভূত। মহিলাদের চুম্বন করেই তারা পালিয়ে যেত। অত্যন্ত ঘৃন্য অপরাধ! তবে ওই দলের পান্ডা গ্রেফতার হওয়ার পরে স্বস্তি পেয়েছেন মহিলারা।