তুরস্ক থেকে ভারতের দিকে যাচ্ছিল একটা জাহাজ। সেই জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে হেলিকপ্টারে করে বিদ্রোহীরা নেমে পড়ে জাহাজে। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তারা জাহাজের দখল নেয়। জাহাজের লোকজনকেও পণবন্দি করা হয়েছে। ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীরা এই জাহাজটিকে হাইজ্যাক করেছে বলে খবর। এটাকে ইজরায়েলের জাহাজ বলে তারা উল্লেখ করেছে। তবে ইজরায়েল বিষয়টি মানতে চায়নি। তাদের দাবি, ইজরায়েলের কেউ নেই জাহাজে।
জাহাজটিকে মাঝপথেই হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে খবর। হেলিকপ্টারে করে এসে জাহাজের ডেকে নেমে পড়ে বিদ্রোহীরা। এরপর স্লোগান দিতে শুরু করে। জাহাজটিকে ঘুরিয়ে ইয়েমেনের বন্দর সালিফের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে এএফপি সূত্রে খবর। এদিকে ইজরায়েলের দাবি, এর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। তবে ইরান এই অভিযোগ মানতে চায়নি।
এদিকে বিদ্রোহী দলের মুখপাত্র মহম্মদ আব্দুল সালাম এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, এই তো সবে শুরু। ইজরায়েল যদি গাজাতে হামলা বন্ধ না করে তবে এটা চলতে থাকবে। এই রুট দিয়ে কোনও ইজরায়েলি জাহাজ যেতে দেওয়া হবে না।
মনে করা হচ্ছে অন্তত ২৫জন ক্রু রয়েছে ওই জাহাজে। ব্রিটিশ একটি কোম্পানির আওতায় রয়েছে জাহাজটি। কিন্তু সেটা জাপানের একটি কোম্পানির হয়ে ভাড়া খাটছিল। তবে এই জাহাজের সঙ্গে ইজরায়েলের এক ধনকুবেরের সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তারা ইজরায়েলের উপর চাপ তৈরির জন্য় এই কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, লোহিত সাগর দিয়ে তারা ইজরায়েলের জাহাজ যেতে দেবে না। তারা জানিয়ে দিয়েছে ইজরায়েলের জাহাজকে তারা টার্গেট করছে। আরও এই ধরনের ঘটনা হবে। এদিকে যাদেরকে তারা নিয়ে গিয়েছে তাদের বর্তমান অবস্থান কোথায় সেটা জানা যায়নি। তবে যেভাবে এই জাহাজ হাইজ্যাক করা হয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।