একজন মা কীভাবে এমনটা করতে পারলেন? নবজাতক শিশুকে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রেখে কীভাবে শান্তিতে ঘুমিয়ে গেলেন তিনি? শুধুমাত্রই কি অন্যমনস্কতার জেরেই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে?
মায়ের কাছে তাঁর সন্তানের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই। তবে এমন কিছু ঘটনাও পৃথিবীতে ঘটে যা মায়ের ভালোবাসাকেই লজ্জায় ফেলে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে এমনই কিছু ঘটে গিয়েছে। একজন মা, নাম মারিয়া থমাস, থাকতেন আমেরিকার কানসাস শহরে, নিজের সন্তানকে ওভেনে শুইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যার ফলে শিশুটি শ্বাসরোধে মারা গিয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
- আমি ভুলবশত বাচ্চাকে ওভেনে রেখেছিলাম: মারিয়া থমাস
পুলিশ তদন্ত শুরু করলে ওই মহিলা জানান, রাতে সন্তানকে খাওয়ানোর পর তিনি তাকে দোলনায় শোওয়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে ভুলবশত শিশুটিকে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তা বুঝতে পারেননি একদমই। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি ভুলবশত নিজেকে শিশুকে ওভেনের ভিতরে শুইয়ে দিয়েছেন। এরপর ওভেন খুলতেই দেখতে পান শিশুটি পুড়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনও লাভ হয়নি, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে নবজাতকের।
- মারিয়া থমাসের ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে
জিজ্ঞাসাবাদে মারিয়া থমাস বলেছেন যে এই ঘটনাটি শুধুমাত্র ভুলবশত ঘটে গিয়েছে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একেবারেই এমন ভয়াবহ কাজ করতে পারেন না। তবে পুলিশ এই বিষয়টি নিয়ে কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাল ছাড়েনি, আরও তদন্ত চলছে। মারিয়া থমাসের ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এছাড়া তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সরস্বতী পুজোর দিনে এই বিষয়গুলির রাখুন খেয়াল, মায়ের আশীর্বাদে আসবে সাফল্য
জানা গিয়েছে, মরিয়ার বয়স ২৬ বছর। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। জ্যাকসন কাউন্টির মামলায় ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন আইনজীবী জিন পিটার্স বেকার। যদিও বিবৃতিতে মারিয়ার নিজ স্বীকারোক্তি ছাড়া এই ধরনের ভয়ংকর ভুল কীভাবে ঘটেছে, সে বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা করা হয়নি, তবে জ্যাকসন কাউন্টির প্রসিকিউটিং অ্যাটর্নি জিন পিটার্স বেকার এক বিশেষজ বিবৃতিতে বলেছেন, 'এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা এবং একটি অত্যন্ত মূল্যবান প্রানের ক্ষতির কারণে আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমরা অবশ্যই নিশ্চিত যে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা এই ভয়াবহ ঘটনার বিপক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।'