পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা এখনও কমেনি। তারইমধ্যে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া তিব্বতের একটি শহর পর্যন্ত নয়া রেল রুটের ঘোষণা করলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দক্ষিণ-পূর্ব চিনের সিচুয়ান থেকে ১,০১১ কিলোমিটারের সেই রেললাইনের ফলে সিদ্ধান্তে নাকি চিনের অখণ্ডতা সুরক্ষিত হবে এবং সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।
সিচুয়ান-তিব্বত রেলের ইয়ান-নিঙ্গচি শাখার মধ্যে ২৬ টি স্টেশন থাকবে। যে রেলপথের ফলে সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেঙ্গদু থেকে লাহসার মধ্যে যাতায়াতের সময় ৪৮ ঘণ্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ১৩ ঘণ্টা। নিঙ্গচি হল তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রশাসনিক সদর দফতর। যে এলাকার সঙ্গে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত আছে। যদিও চিনের দাবি, পুরো অরুণাচল প্রদেশই নাকি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। তারই অঙ্গ হিসেবে ভারতের উপর চাপ বাড়াতে নিঙ্গচির প্রত্যন্ত এলাকায় দ্রুতগতিতে পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মতো সেখানেও বিদেশি সাংবাদিক এবং কূটনীতিবিদদের যাওয়ার অনুমতি নেই।
চিনা প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে সেদেশের সংবাদসংস্থা শিনহুয়া বলেছে, ‘নয়া প্রজন্মে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তিব্বতে শাসনের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই প্রকল্পকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন শি। দেশের ঐক্য, জাতিগত একতা এবং সীমান্তে স্থিতাবস্থা জোরদার করতে এই প্রকল্প কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাও জানিয়েছেন।’ চিনা প্রেসিডেন্টের দাবি, সিচুয়ান প্রদেশ এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল-সহ পশ্চিমের এলাকার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেই রেল প্রকল্প।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে দুটি সুড়ঙ্গ এবং একটি ব্রিজ তৈরির বরাতের ফলাফল ঘোষণা করেছিল চিনা সরকার। একইসঙ্গে সিচুয়ান-তিব্বত রেলের ইয়ান-নিঙ্গচি শাখার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের বরাতের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। তা থেকেই নয়া রেল প্রকল্পের ইঙ্গিত মিলেছিল।