আবার সেই ওড়িশা। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনও টাটকা। তার মধ্য়েই ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল বলে খবর। ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনের কাছে এই ঘটনা। সেই ভিডিয়োও সামনে এসেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। স্থানীয় সূত্র থেকে সংবাদ সংস্থা এই ভিডিয়ো পায়। রেল এটি নিশ্চিত করেছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ট্রেনটি রেললাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েছে। রেলযাত্রীরা যে যার মতো করে ঝাঁপ দিচ্ছেন ট্রেন থেকে। বাঁচার জন্য আতঙ্কে ছুটছেন তারা। একাধিক শিশু ও মহিলা প্রাণভয়ে ছুটতে শুরু করেন। কামরার নীচে থেকে সাদা ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। একটি ভিডিয়ো টুইট করেছে এএনআই।
কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা হল? রেল আধিকারিক বসন্ত কুমার সৎপতিকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, কোনও দুর্ঘটনার জন্য় এই ধোঁয়া বের হয়নি। একটি বস্তা কোনওভাবে চাকার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল। এর জেরে ব্রেক আটকে যায়। আমরা ওই বস্তাটাকে সরিয়ে দিয়েছি। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছিল। ১৫-৩০ মিনিটের জন্য ট্রেনটি থেমেছিল। ব্রহ্মপুর স্টেশনে ট্রেনটিকে ভালো করে পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে তারপরে ট্রেনটিকে ছাড়া হয়েছে।এদিকে সম্প্রতি এই ওড়িশার বালাশোরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। গত ২ জুন। বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে মেন লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি ছিল)। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। ওই মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। ছিটকে পড়ে অন্য লাইনে। সেইসময় উলটো দিকের লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সেই ঘটনায় সার্বিকভাবে প্রায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছেন ১,০০০ জনের বেশি।
সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনও টাটকা। তার আগেই ফের বিপত্তি। কিন্তু বস্তা কীভাবে জড়িয়ে গেল ট্রেনের চাকা। আর চাকায় বস্তা জড়িয়ে এভাবে ধোঁয়া বের হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। এদিন যেভাবে এই ঘটনা হয় তাতে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়ায় রেলযাত্রীদের মধ্য়ে।