অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে গত ৯ ডিসেম্বর চিন ও ভারতের সেনার মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। সদ্য সংসদে সেই ইস্যুতে আলোচনা চেয়েছে বিরোধীরাও। তাওয়াং সংঘাত নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কংগ্রেস, সদ্য পার্টির সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেখানেই কংগ্রেসের তরফে দাবি ওঠে তাওয়াং সংঘাত নিয়ে সংসদে আলোচনা করার।
ক্ষুব্ধ সনিয়ার দাবি,'সরকার ভীষণভাবে অনমনীয়(এই তাওয়াং সংঘাত আলোচনা ইস্যুতে) কোনও আলোচনাই করতে দিচ্ছে না। জনতা ও সংসদের কক্ষ কেউই জানে না কী ঘটে গিয়েছে আসল পরিস্থিতিতে। কেন সরকার একটি আর্থিক জবাব দিচ্ছে না চিনা সীমালঙ্ঘন নিয়ে?' সংসদের সেন্ট্রাল হল- এ পার্টির সাংসদদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকে বসেন সনিয়া গান্ধী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে, লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বৈঠকের পর বিরোধী শিবিরের যে সমস্ত সাংসদরা গান্ধী মূর্তর পাদদেশে ধরনা দিচ্ছিলেন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। সংসদের মধ্যে ওই প্রতিবাদরত সাংসদদের মধ্যে যোগ দেন সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খার্গেরা। যোগ দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরম।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, ‘আমরা কেউ জানতে চাইছি না সেনার কোনও গোপন তথ্য।’ তাঁদের, মতে তাহলে কেন সংসদে এই ইস্যুতে কথা বলা হচ্ছে না। পি চিদাম্বরমের প্রশ্ন, ‘ এই সীমানা লঙ্ঘন কেন রোখা যাচ্ছে না?’ কংগ্রেসের প্রস্ন জি ২০ এর ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কী কথা হয়েছিল? তারপরও চিন এভাবে কেন প্রবেশ করল দেশে?
অরুণাচল সীমান্তে লালফৌজকে ভারতীয় সেনার যোগ্য জবাবে খুশি অরুণাচলবাসী! কী বলছেন ?
উল্লেখ্য, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে গত ৯ ডিসেম্বর চিনের সেনা হামলা চালায়। তার মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারতীয় সেনার তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করে। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চরমে থাকে। এদিকে, সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন এই সংঘাত ঘটে যায় দেশের উত্তর পূর্বের রাজ্যের সীমান্তে। অন্যদিকে, সংঘাত সম্পর্কে সংসদে বিবৃতি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানান দেশের কোনও সেনাই ওই সংঘাতে গুরুতর আহত হননি। এদিকে, বিরোধীরা এই ইস্যুতে সংসদে আলোচনার দাবী করে। যে আলোচনা হতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ কংগ্রেস সমেত বিরোধীদলগুলির।