সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দুকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগরের সাংসদের করা এই টুইটকে ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেরই প্রশ্ন, এই টুইট কি মহুয়া মৈত্র মজার ছলে করেছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে।
কী লিখেছেন টুইটে কৃষ্ণনগরের সাংসদ? অরুণাচল প্রদেশের সুস্বাদু কিউই ফল পাঠানো নিয়ে মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ টুইটে লেখেন, ‘ধন্যবাদ প্রেমা খান্দু। আপনার পক্ষ থেকে পাওয়া অর্গ্যানিক কিউই ফলের বাক্স পেয়ে আমি আপ্লুত। সকলকে এই ফল কেনার জন্য অনুরোধ জানাব।’ এরপর অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ কিরণ রিজুজুকেও ট্যাগ করেন মহুয়া। বিজেপির ওই সাংসদকে উদ্দেশ্য করে মহুয়া লেখেন, ‘কিরণ রিজুজু হয়ত এই ফল আরও বেশি করে বিতরণ করতে পারবেন।’ মহুয়ার পাঠানো এই বার্তার উত্তরও দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। এই প্রসঙ্গে কিরণ রিজুজু জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দুর এই কিউই বাক্সটি আমার তরফেও আপনার জন্য একটি উপহার। ফল আপনার পছন্দ হওয়ায় আমি আপ্লুত। এই ফল এবার দিল্লিতেও বেশি করে পাওয়া যাবে।’
মহুয়ার এই টুইট ঘিরে নেটিজেনদের মনেও নানা প্রশ্ন উঁকি মারছে। একজন নেটিজেনকে এই মন্তব্য করতে দেখা গেছে, যেখানে তিনি বলছেন, ‘এরপর সকলেই মনে করবেন আপনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।’ যদিও এর জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি লেখেন, ‘ট্রোলের জন্য নতুন খাদ্য। এটাই আমার আইডিয়া ছিল।’ কিন্তু এরপরও এই প্রসঙ্গে নানা মন্তব্য করতে থাকেন নেটিজেনরা। ফলে মহুয়ার এই টুইটকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল বজায় থাকল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই একই কায়দায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক সভায় সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ধমক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মতানৈক্য কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।