শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। আর প্রধানমন্ত্রী তাঁরই দাদা মাহিন্দা রাজাপক্ষ। এদিকে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেমন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে তেমনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ কিছু কম নয়। এবার কার্যত চাপে পড়েই সেই দাদাকেই চেয়ার থেকে সরাতে চাইছেন ভাই গোতাবায়া। কার্যত নিজের কুর্শি বাঁচানোর জন্যই তাঁর এই পরিকল্পনা। এদিকে তীব্র সংকটের মধ্যে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। আর তার মাঝেই রাজাপক্ষের পরিবারের মধ্যেও শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বন্দ্ব । এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকী রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নিজের দাদাকেও প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরাতে রাজি হয়েছেন ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষ।
এদিকে সূত্রের খবর, সার্বিক পরিস্থিতিতে একেবারে টালমাটাল অবস্থা গোতাবায়ার। ক্ষোভের সুনামি বার বার আছড়ে পড়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সংকটের জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজেও। কোনওরকমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ে সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। আর সেই পরিস্থিতি এবার দাদাকে সরিয়ে নিজের চেয়ার বাঁচাতে চাইছেন ভাই। আসলে শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষ পরিবারের মধ্য়ে কুক্ষিগত রয়েছে ক্ষমতা। এনিয়েও নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। সেসব সামাল দিতেই নয়া সমীকরণ নিয়ে ভাবছেন রাজাপক্ষ। এদিকে প্রবীণ মন্ত্রী মৈত্রীপাল সিরিসেনা এনিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রসঙ্গত তিনিও একসময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সূত্রে খবর, সম্প্রতি জরুরী ভিত্তিতে এনিয়ে মিটিংও হয়। সেখানে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নবগঠিত ন্যাশানাল কাউন্সিল নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন করবে।