সংসদে হামলার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের মধ্যেই বোমা বিস্ফোরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ফলে আহত হল এক ছাত্র। এলাহাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিবি হস্টেলের ৬৮ নম্বর কক্ষে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় আহত ছাত্রের নাম প্রভাত। বিস্ফোরণের ফলে ছাত্রের ডান হাতের কিছু অংশ উড়ে গিয়েছে। এছাড়াও বুকে আঘাত পেয়েছে ওই ছাত্র। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ওই ছাত্র। জানা গিয়েছে, হস্টেলের ভিতরেই বোমা তৈরি করতে গিয়ে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরাক্কায় অঙ্গনওয়াড়ির সামনেই বোমা বিস্ফোরণ, বল ভেবে খেলতে গিয়ে রক্তাক্ত তিন শিশু
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির পিসিবি হস্টেলে একটি ঘর দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করছিল ওই ছাত্রটি। সেই ঘরেই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। তখনই অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণের পরেই হস্টেলে হুলুস্থূল পড়ে যায় পড়ে যায়। তড়িঘড়ি অন্যান্য আবাসিকরা ওই ছাত্রের ঘরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সে। তখন তারা ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। খবর পেয়ে কর্নেলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আবাসিকদের একাংশের দাবি, বুধবার বোমা তৈরির সময় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছাত্রটির ডান হাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী বলছে পুলিশ?
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসআরএন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার (শিব কুটি) রাজেশ কুমার যাদব জানিয়েছেন, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ সম্পন্ন করেছে ওই ছাত্র প্রভাত যাদব। তারপরেও সে অবৈধভাবে পিসিবি হোস্টেলে থাকছিল। বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রটি বোমা তৈরি করছিল। সেই সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয় ওই ছাত্র। তিনি জানান, ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও একজন ছাত্র সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রভাত যাদবের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করবে। তবে পুলিশ এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। অনেক ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে হস্টেলে বেআইনি কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। কী কারণে বোমা তৈরি করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।