সাফাইকর্মীদের স্থায়ীকরণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। সেই সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করেছে আদালত। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি হিমা কোহলি আর বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা তামিলনাড়ু সরকারের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন। বিচারপতিরা জানিয়েছেন এমন একটি শক্তিশালী শক্তি আদালতে এসেছে সাফাইকর্মীদের বিরুদ্ধে।
আসলে মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যেখানে ২২ বছর ধরে স্কুলে কর্মরত সাফাইকর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি মেনে নেওয়া হয়। আর সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে আবেদন করে তামিলনাড়ু সরকার।
সরকারের আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, একজন ২২ বছর ধরে স্কুলে কাজ করলেন। এরপর তিনি গ্র্যাচুয়িটি পেনশন ছাড়াই বাড়ি ফিরবেন। সমাজের সর্বনিম্ন শ্রেণি তাঁরা। কিন্তু একটি সরকার কীভাবে সাফাইকর্মীদের বিরুদ্ধে যেতে পারেন?
সাফাইকর্মীদের বিরুদ্ধেও সরকার ক্ষমতা দেখাচ্ছে? প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি। দুঃখিত আমরা এই আবেদনটি নাকচ করে দিলাম। এভাবেই সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা তামিলনাড়ু সরকারের।
সরকারের তরফে বলা হয়েছিল সাফাইকর্মীরা ২২ বছর ধরে কাজ করতে পারেন। কিন্তু সেটা তাদের আংশিক সময়ের কাজ ছিল। যদি স্কুলে কোনও স্থায়ী পদ না থাকে তবে কীভাবে তাঁরা স্থায়ী কর্মীর সুবিধা পাবেন?
এদিকে মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল যেখানে এত বাচ্চার স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার ব্যাপার সেখানে কীভাবে অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের হাতে পরিষ্কারের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে? এদিকে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের এই আবেদনকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে উল্লেখ করেছে।