রবিবার রাষ্ট্রসংঘের প্রধান জানিয়েছেন, সুদানের যুদ্ধ কার্যত গৃহযুদ্ধের চেহারা নিয়েছে। শনিবার সুদানের রাজধানী খারতুমের কাছে একটি ভয়াবহ বিমান হামলা হয়েছে। তাতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। যার মধ্যে নারী এবং শিশুও আছে। প্রেসিডেন্টের রাজপ্রাসাদের খুব কাছে ওই ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়েই গৃহযুদ্ধের উল্লেখ করেছেন আন্তোনিও গুতেরেস।
রবিবার গুতেরেসের মুখপাত্র তাঁর বিবৃতি পড়ে শুনিয়েছেন। সেখানে রাষ্ট্রসংঘের প্রধান জানিয়েছেন, সুদানের লড়াই গোটা আফ্রিকায় আশঙ্কা তৈরি করেছে। আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলি সুদান নিয়ে চিন্তিত। সুদানের যুদ্ধ অন্য দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: Bouncers to Protect Tomato: দোকানে টমেটো পাহারায় এবার 'বাউন্সার' নিয়োগ! সমাজবাদী পার্টি কর্মী খবরে
সুদানের পরিস্থিতি ভয়াবহ। কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন। তাঁরা পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে বহু শিশু এবং নারী আছেন। সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন গুতেরেস।
সুদানের সামরিক প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধা সামরিক বাহিনীর প্রধান মহম্মেদ হামদান দাগার মধ্যে প্রবল লড়াই চলছে। দাগা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছেন। অভিযোগ, দাগা শহরের মাঝখানে তার ঘাঁটি তৈরি করেছেন। জোর করে সাধারণ মানুষকে লড়াইয়ে নামতে বাধ্য করছেন তিনি।
অন্যদিকে, বুরহান একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। দাগার দাবি, শনিবারের বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সুদানের আধা-সামরিক বাহিনীর প্রধানকে রাশিয়ার ভাগনার সেনা সাহায্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এর সত্যতা জানা যায়নি। ভাগনার সেনাও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। অতীতে এই দাবি তারা অস্বীকার করেছিল।
সবমিলিয়ে সুদানের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিক থেকে সুদানের অবস্থা আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়বে দেশটি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)