কলেজিয়ামের মতভেদ প্রকাশ্যে আনা হল। এই প্রথম কলেজিয়ামের মতভেদ সংক্রান্ত তথ্য জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করা হল। উল্লেখ্য প্রধান বিচারপতি ললিত ছাড়া কলেজিয়াম ছিলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, বিচারপতি এসএ নাজির এবং বিচারপতি কেএম জোসেফ। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এই মতভেদের বিষয়টি জানিয়ে একটি রেজোলিউশন প্রকাশ করা হয়। রেজোলিউশনে জানানো হয়, কলেজিয়ামে যে চারজন বিচারপতিকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল তাঁদের নিয়ে কোনও আপত্তি না থাকলেও প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি ছিল বিচারপতি চন্দ্রচূ়ড় এবং বিচারপতি নাজিরের।
উল্লেখ্য, এক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সহ মোট চারজনকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার জন্য কলেজিয়ামের বৈঠক হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। তবে সেই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ছুটির আগে তাঁর এজলাসে মামলার চাপ থাকায় তিনি কলেজিয়ামের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। এরপর ১ অক্টোবর ছুটি পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, যে চারজনকে নিয়ে কলেজিয়ামের বৈঠক হয়েছিল তাঁরা হলেন - পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রবিশঙ্কর ঝা, পটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল, মণিপুর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট কেভি বিশ্বনাথন।
এদিকে ছুটির আগের কলেজিয়ামের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতসহ আরও তিন বিচারপতি। এই আবহে জানা গিয়েছে বিচারপতি ললিত দুই বিচারপতিকে তাঁদের প্রস্তাব লিখিত আকারে দিতে বলেন। তবে কনভেনশন অনুযায়ী লিখিত ভাবে নিজেদের মতামত জানাতে অস্বীকার করেন দুই বিচারপতি। তাঁদের সাফ বক্তব্য, বৈঠকে নাম নিয়ে আলোচনা করে সম্মত হওয়া যায়। এদিকে আজই নিজের উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করে দিলেন ইউইউ ললিত। এই আবহে তাঁর নেতৃত্বে আর কলেজিয়ামের বৈঠক ডাকা যাবে না।