যে যে রাজ্যে এখনও 'এক দেশ, এক রেশন কার্ড' চালু হয়নি সেসব রাজ্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা চালু করার নির্দেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট। এদিন বিচারপতি অশোক ভূষণ এভং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় শোনায়। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে 'এক দেশ এক রেশন কার্ড' প্রয়োগ করতে বলায় কিছুটা চাপে পড়তে হল রাজ্যকে।
করোনা সংক্রমণের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকরা চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছেন। এই শ্রমিকরা নিজের রাজ্য ছেড়ে দেশের যে প্রান্তেই থাকুন, তাঁদের যাতে খাবারের অভাব না হয়, সেই জন্য ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সব রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’-এর ভিত্তিতে বিনামূল্যে রেশন বিতরণের নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তিন সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ, হর্ষ মান্দার আর জগদীপ ছোকর পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার সমাধানে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ।
বহু রাজ্যে চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গে 'এক দেশ এক রেশন কার্ড'-এর ব্যবস্থা চালু করা হয়নি রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, এতে রাজ্যের উপর বাড়তি চাপ বাড়বে। তবে রাজ্যের সেই দাবি উড়িয়ে সুপ্রিমকোর্ট বলেছিল অবিলম্বে এই প্রকল্প চালু করতে হবে রাজ্যকে। যদিও শর্ষ আদালতের সেই নির্দেশে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। এরপরই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেছিলেন, এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প চালুর বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে চালু হবে 'এক দেশ এক রেশন কার্ড'। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর এই প্রকল্প চালু করতে রাজ্যের হাতে তিন নয় মাত্র এক মাস সময় রয়েছে।
উল্লেখ্য, নাগরিকদের বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্কারমূলক প্রকল্প 'এক দেশ এক রেশন কার্ড'। এর প্রয়োগে উপভোক্তাদের ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে দেশের যে কোনও রেশন দোকান থেকে নিজের রেশন কার্ড দেখিয়ে রেশন তুলতে পারেন, তার ব্যবস্থাও এই আইনের মাধ্যমে করা হয়। দেশের যে কোনও প্রান্তের ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল রয়েছে এমন রেশন দোকান থেকে নিজের বরাদ্দের রেশন তুলতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।