বিবাহিত এক মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্মতিতে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রাহ্য হয় না। এই বলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তার ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আলোচনা সমাজে প্রভাব ফেলবে, সুপ্রিম কোর্টে বলল সরকার
মামলার বয়ান অনুয়ায়ী, বয়সে ১০ বছরের ছোট ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন মহিলা। তিনি বাবা-মা এবং মেয়ের সঙ্গে যে বাড়িতে থাকতেন সেই বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। ২০১৭ সালে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ২০১৯ সালে মন্দিরে গিয়ে তারা বিয়ে করেন। এরই মধ্যে ২০১৮ সালে প্রথম পক্ষের স্বামীর সঙ্গে মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিয়ের পর তারা একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেছিলেন। তবে মহিলা আইনিভাবে ওই যুবককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে ওই যুবক রাজি হননি বলে অভিযোগ। এরপরেই মধ্যপ্রদেশের সাতনা মহিলা থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
সেই মামলাতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট মহিলার পক্ষে রায় দিয়েছিল। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবক। সেক্ষেত্রে তার বক্তব্য ছিল, তিনি মহিলাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেননি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মহিলা নাবালিকা নন। নিজের ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা রয়েছে তার। তিনি যা করেছেন, তার পরিণতি কী হতে পারে, তা জেনে বুঝেই করেছেন। উলটে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাছাড়া বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, ওই যুবক বিমায় মহিলাকে নমিনি করেছিলেন। তাছাড়া, তিনি মহিলাকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন, যা তিনি পরে পাননি। এমনকী তিনি মহারাষ্ট্রে কাজে চলে গেলেও মাঝেমধ্যেই মহিলার কাছে আসতেন। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয়।