NEW DELHI : বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধীকরণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারতীয় আইনে বিবাহিত পুরুষ যদি স্ত্রীর সঙ্গে বলপূর্বক কোনও ধরনের শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাকে ধর্ষণের মতো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না। যদিও এখন একে ধর্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করা এবং এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে উল্লেখ করা দাবি উঠেছে নানা মহলে। এই সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি হওয়ার কথা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। আর সেই বিষয়ে শীর্ষ আদালতে আলোচনা চলতে থাকলে, সমাজে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
(আরও পড়ুন: বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে? মামলার শুনানির দিন জানাল সুপ্রিম কোর্ট)
কবে ওই মামলাগুলি শোনা হবে, শুক্রবার তা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তারই প্রেক্ষিতে আইনজীবী করুণা নন্দী এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চাইলে, কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলে সমাজে এর প্রভাব পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে, মামলার আবেদনকারীরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রায়ের জন্য অপেক্ষায়। কেন্দ্রের আইনজীবীর ইঙ্গিত এই আলোচনা দীর্ঘায়িত হলে এর প্রভাব পড়বে আবেদনকারীদের উপরে।
(আরও পড়ুন: 'প্রভাব পড়বে সমাজে', বৈবাহিক ধর্ষণ ইস্যুতে শীর্ষ আদালতকে বললেন সলিসিটর জেনারেল)
প্রধান বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে যে সব মামলা চলছে সেগুলি শেষ হলে তারপরই বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। এমনটাই কথা রয়েছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে মামলাগুলির শুনানি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও তা ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে এখনও পর্যন্ত গণ্য হয় না। এই নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেগুলির শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২২ সালে দিল্লি হাইকোর্টে এই বিষয়টির শুনানি হয়। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি এই বিষয়ে আলাদা আলাদা মত পোষণ করেছিলেন। তাই সেই সেখানে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গর্ভপাত সংক্রান্ত রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কোনও পুরুষ যদি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে ও স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায়। তার পর থেকে এই বিতর্ক আর জোরদার হয়েছে। আপাতত সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বহু মানুষ।