বুধবার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে গুজরাটের সুরাটে একটা কারখানা ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। আর সেই কারখানা থেকেই উদ্ধার করা হল সাতজনের দেহ। মনে করা হচ্ছে ওই আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাদের। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আমরা কিছু কঙ্কাল পেয়েছি। কিছু হাড়গোড় মিলেছে। সাতজনের শরীরে দেহাবশেষ মিলেছে ওই এলাকা থেকে। এদিকে কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল ওখানে কয়েকজন শ্রমিককে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পুলিশ ও অন্য়ান্য় উদ্ধারকারীরা সব মিলিয়ে ২৪জনকে উদ্ধার করেছিলেন। তারা সকলেই ওই অগ্নিদগ্ধ কারখানার মধ্য়ে আটকে পড়েছিলেন। তাদের মধ্য়ে অনেকেরই শরীরের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কীভাবে আগুন লাগল সেটা দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কত প্রাণহানি হয়েছে সেটাও দেখা হচ্ছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
বুধবার সকালে সচিন জিআইডিসি শিল্প তালুকে আচমকাই আগুন লেগে যায়। একটি কেমিক্যাল মজুত করার ট্যাঙ্কে প্রথমে আগুন লাগে। সেখানে বিরাট বিস্ফোরণ হয়। এরপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত সেই আগু ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রাত ২টোর সময় আগুন লাগে। সেই সময় কারখানায় সব মিলিয়ে ১০০জন শ্রমিক ছিলেন।
অশ্বিনী দেশাই নামে এক শিল্পপতি ২০১৩ সালে ওই কারখানাটি তৈরি করেছিলেন। বিভিন্ন সংস্থায় কেমিক্য়াল সরবরাহ করা হয় এই শিল্প কারখানা থেকে। গুজরাটে তাদের দুটো কারখানা রয়েছে। দেশের মধ্য়ে ধনকুবেরদের তালিকায় নাম রয়েছে অশ্বিনী দেশাইয়ের। বয়স ৭২ বছর। ফোর্বসের তালিকায় ২২৫৯ নম্বরে রয়েছেন তিনি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১.১ বিলিয়ন। আর সেই ধনকুবেরের মালিকানাধীন কারখানাতেই এবার বিধ্বংসী আগুন। তাতেই মারা গেলেন সাত জন।