কোরান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আর তার প্রতিবাদে রবিবার টানা চতুর্থ দিন জ্বলল সুইডেনের একাধিক শহর।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রাসমাস পালুদান নামের ৪০ বছরের ডেনিশ-সুইডিশ চরমপন্থীর কাজ থেকে। স্ট্রাম কুরস নামের এক অতি-ডানপন্থী পার্টির নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই রাসমাস ঘোষণা করেন যে তিনি ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ পুড়িয়েছেন এবং তা আবারও করবেন।
তারপরেই রীতিমতো ভাঙচুর, আমজনতার উপর হামলা, রাস্তায় রাখা গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা শুরু হয় সুইডেনের একাধিক শহরে। পুলিশ প্রতিবাদকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এলে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। শেষমেশ অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। নরকপিং শহরে, রবিবার ৩ জন পুলিশের বুলেটে আহত হন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
কিছু স্থানে দক্ষিণপন্থী চরমপন্থী বিক্ষোভের পরিকল্পনার খবর ছড়ায়। এদিকে তার আগেই পাল্টা প্রতিবাদকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
হিংসার কড়া নিন্দা করেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন।
শনিবার পুলিশ অশান্তি ঠেকাতে ল্যান্ডসক্রোনা শহর থেকে মালমোর একটি কার পার্কে ইসলাম বিরোধী অতি-ডান গোষ্ঠীর সমাবেশকে স্থানান্তরিত করে। তা সত্ত্বেও, শনিবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুইডেনে ভাঙচুর চালানো হয়।
সুইডেনের পুলিশ জানিয়েছে প্রায় ১০০ জন জড়ো হয়ে যায়। শুরু হয় পাথর ছোড়া। তার পাশাপাশি রাস্তায় রাখা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। টায়ার এবং ডাস্টবিন পোড়ানো হয়। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।