‘নিজেদের সার্বভৌমত্ব বা স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সঙ্গে আপস করা হবে না’, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' মন্তব্যের পর এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হল স্বশাসিত দ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তরফে। তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তাইওয়ান প্রণালী এবং দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা উভয় পক্ষেরই দায়িত্ব। যুদ্ধক্ষেত্রে বৈঠক করা যায় না।’
তাইওয়ান নিয়ে জিনপিং এদিন দাবি করেন, ‘হংকংয়ের পরিস্থিতি উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের। তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ও তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।’ জিনপিংয়ের কথায়, ‘তাইওয়ান সমস্যা সমাধান করা চিনা জনগণের নিজস্ব বিষয়। চিনা জনগণকে একাই এর সমাধান করতে হবে। আমরা আন্তরিকতার সাথে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের চেষ্টা চালিয়ে যাব। কিন্তু বল প্রয়োগের বিষয়টি পরিত্যাগ করতে কখনই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হব না।’ উল্লেখ্য, ১০ বছর ধরে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ও দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন শি জিনপিং। তিন দশকের নিয়ম ভেঙে ফের দল ও দেশের সর্বোচ্চ পদে ফিরতে চলেছেন জিনপিং। এবং এর ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ‘চিনা জাত্তাভিমান’ এবং তাইওয়ান, হংকং নিয়ে জাতীয়তাবাদী মনোভাব।
এদিকে হংকং এবং ম্যাকাও প্রসঙ্গে জিনপিং আজ বলেছিলেন, ‘আমাদের এক দেশ, দুই নীতি কার্যকর করতে হবে দেশে। হংকংয়ের মানুষরাই হংকং শাসন করবেন, ম্যাকাওয়ের মানুষরাই ম্যাকাও শাসন করবেন। আমাদের উচিত অর্থনীতির উন্নয়ন, জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন এবং সমস্যা সমাধান, দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য হংকং এবং ম্যাকাওকে সাহায্য করা। এর ফলে চিনা জাতির মহান পুনর্জাগরণ উপলব্ধি করতে আরও ভালো ভূমিকা পালন করতে পারবে হংকং এবং ম্যাকাও।’