বিরাট দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা। কার্যত ডিউটি অফিসারের উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পেলেন বিমানযাত্রীরা। বুধবার সকালে ভিস্তেরার দুটি বিমান প্রায় একই সঙ্গে রানওয়েতে এসে যায়। সূত্রের খবর, ভিস্তারার দিল্লি- বাগডোগরা ফ্লাইটটি রানওয়ে থেকে উড়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই দেখা যায় আমেদাবাদ থেকে দিল্লিতে নামছে অপর একটি ভিস্তারার ফ্লাইট। আর দুটি ফ্লাইট একেবারে সমান্তরাল রানওয়েতে ছিল। আর রানওয়ের একেবারে শেষ দিকে এসে আর অল্পের জন্য দুটি বিমান একেবারে কাছাকাছি এসে যায় বলে খবর। কিন্তু বড় কোনও দুর্ঘটনা হয়নি বলে খবর।
এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, একই সময়ে দুটি বিমানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল দ্রুত এটার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেয়। তবে যে অফিসার ছিলেন তিনি দ্রুত নির্দেশ দেন যাতে টেক অফটা বাতিল করা হয়।
এদিকে সেই নির্দেশ পেয়েই যে ফ্লাইট দিল্লি থেকে বাগডোগরার দিকে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেটা দ্রুত ফিরে এসে রানওয়ে থেকে পার্কিং বের দিকে চলে যায়। এরপর আধিকারিকরা জ্বালানির পরিস্থিতি দেখে নেন, যে বাগডোগরাতে যদি আবহাওয়ার খারাপ থাকে তবে সেটি আবার দিল্লিতে ফিরে আসতে পারবে কিনা।
প্লেনটির ব্রেকিং সিস্টেমকেও ঠিকঠাক দেখে নেওয়া হয়। এয়ারপোর্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যদি ফ্লাইটের টেক অফের ক্ষেত্রে বারণ না করা হত তবে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারত। বড় দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারত।
এদিকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বলছে কোনও বিমানের টেক অফ অথবা ল্যান্ডিংয়ের সময় অন্য কোনও বিমান বা কোন গাড়ি রানওয়েতে থাকতে পারে না। এটা হলে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
এদিকে সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে বাগডোগরার দিকে যে প্লেনটির উড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেটিকে দ্রুত রানওয়ে থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিমানে ঘোষণা করা হয় এটিসির নির্দেশে প্লেনটি এখনই টেক অফ করছে না। এই ঘোষণা শুনে স্বাভাবিকভাবেই ঘাবড়ে যান যাত্রীরা।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সিনিয়র পাইলট তথা সেফটি ম্যাটার্স ফাউন্ডেশনের ক্যাপ্টেন অমিত সিং জানিয়েছেন, সাধারণত দ্বিতীয় রানওয়েতে বিমানটি ঠিকঠাক না নামা পর্যন্ত অপর এয়ারক্রাফটকে উড়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে ভিস্তারার তরফ থেকে কোনও বক্তব্য মেলেনি।