শরিয়তি আইন মেনে মহিলাদের অধিকার প্রদান করা হবে। সরকারের কাজেও মহিলাদের সামিল করা হবে। কাবুলের ‘পতনের’ পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছে তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
মঙ্গলবার জাবিহুল্লাহকে উদ্ধৃত করে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমে টোলো নিউজ বলেছে, ‘শরিয়তি আইনের উপর ভিত্তি করে মহিলাদের অধিকার প্রদানের বিষয়ে তালিবান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য যে সকল ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রয়োজন হবে, সেখানে তাঁরা কাজ করতে পারবেন। মহিলাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম বৈষম্য হবে না।’
আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের হাতে যাওয়ার পরই মহিলাদের আবারও কালোযুগে ফিরে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বেশিরভাগ মানুষ। ২০-৩০ বছর আগেই যখন তালিবানি শাসনের সময় আফগানিস্তানে মহিলাদের কার্যত কোনও অধিকার ছিল না। মেয়েদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হত। এবার অবশ্য সেই ধারণা পালটানোর চেষ্টা শুরু করেছে তালিবান। বাস্তবে সেই পরিবর্তন আদৌও হবে কিনা, তা সময় বলবে। তবে মঙ্গলবার তালিবানের মুখপাত্র দাবি করেছে, মহিলাদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে জঙ্গিগোষ্ঠী। শরিয়তি আইন মোতাবেক সেই অধিকার মিলবে।
সেইসঙ্গে তালিবান মুখপাত্রের দাবি, প্রতিশোধ-নীতি ত্যাগ করা হবে। যাঁরা আগের সরকার বা বিদেশি সরকার বা বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। বেসরকারি সংবাদসংস্থাকেও ‘স্বাধীন’ থাকতে হবে। তবে কোনওরকম ‘জাতীয় স্বার্থ বিরোধী’ কাজ করা যাবে না। সেই আশ্বাসে অবশ্য ভরসা করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মহল। বরং ২০০১ সালের আগের স্মৃতি এমনভাবে নাড়া দিচ্ছে যে আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন মানুষ।