প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন
১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিপ্রা ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস ফেডেরেশান (TISF) ত্রিপুরা রাজ্যব্যপী রাস্তা অবরোধ, রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে। এটা হল তিপ্রা মোথার ছাত্র সংগঠন। তারা এই আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। ককবরক বিষয়ের উপর রোমান লিপির দাবিতে তাদের এই আন্দোলন।
এদিকে ককবরকের যৌথ আন্দোলন কমিটি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে একই ইস্যুতে আন্দোলনের কথা জানিয়েছে।
জেএমসিএফকে বিআর দেববর্মা আগরতলায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, টিবিএসই প্রেসিডেন্ট ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে বলেছেন। কিন্তু আমরা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তার মধ্য়ে যদি ইতিবাচক কিছু না আসে তবে আমরা ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু করব।
তিনি জানিয়েছেন, আমাদের দাবি হল দুটি লিপিকেই অনুমোদন দিতে হবে। এর জেরে পড়ুয়ারা যে কোনও একটি লিপিতে তাদের পছন্দমতো লিখতে পারবে।
যৌথ আন্দোলনের কমিটি সিবিএসই ও টিবিএসইর কাছে তাদের দাবির কথা জানিয়েছে। প্রথমে রোমান লিপিতে প্রশ্নপত্র ছাপার কথা জানিয়েছে তারা। এরপর সেই সঙ্গেই স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ও ডাইরেক্টরেট অফ ককবরককে সমস্ত ককবরক বই বাংলা লিপির পাশাপাশি রোমান লিপিতে ছাপার ব্যাপারে জানিয়েছে।
দেববর্মা জানিয়েছেন, গত বছর টিবিএসইর নির্দেশে অন্তত তিনটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ককবরক পেপার রোমান লিপিতে লিখতে দেওয়া হয়নি। যখন এব্যাপারে বলা হয়েছিল তখন তারা( পরীক্ষার সেন্টারের ইন-চার্জ) বলেছিলেন টিবিএসই অফিস থেকে তাদের কাছে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু এনিয়ে নোটিশ ইস্যু না করে কেন মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হল?
এদিকে টিবিএসই প্রধান এর আগে জানুয়ারি মাসে সমস্ত পরীক্ষার সেন্টারে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ১২ ক্লাস ও দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ককবরক পেপারের জন্য কেবলমাত্র বাংলা লিপিতেই লিখতে দেওয়া হবে। কারণ হিসাবে যেটা বলা হয়েছে যে রোমান লিপিতে উত্তর লিখলে তা দেখার মতো পর্য়াপ্ত পরীক্ষক এখনও নেই। সেকারণেই সমস্যা হতে পারে। এরপরই তিপ্রা মোথার পক্ষ থেকে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয়।
এরপরই কিছুটা শিথিল হয় টিবিএসই। তাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরীক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের লিপিতে লিখতে পারবেন। পরে আবার তাঁর উচ্চতর কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, সিবিএসই এনিয়ে নির্দিষ্ট কিছু ঘোষণা না করা পর্যন্ত কেবলমাত্র বাংলা লিপিতেই লিখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।