সমলিঙ্গ বিবাহ এখনও স্বীকৃতি পায়নি ভারতে। সমকামিতাকেও এই দেশে অপরাধের নজরেই দেখা হয়। এর আর এক নজির সামনে এল মধ্যপ্রদেশের এক ঘটনায়। এই রাজ্যের ভিন্ড জেলার বাসিন্দা ১৭ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে সম্প্রতি ফেসবুকে আলাপ হয় জবলপুরের ২৪ বছরের এক যুবতীর। দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। আর সেই থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বিয়েও করে। আর এর পরই বয়সে বড় ওই যুবতীর স্থান হয়েছে শ্রীঘরে।
জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের ওই নাবালিকার বাবা–মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে রাজস্থানের ঢোলপুর থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দু’জনকে ঢোলপুর থেকে জবলপুরে নিয়ে আসে পুলিশ। নাবালিকার জবানবন্দি নেওয়ার পর তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে ২৪ বছরের ওই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে অপহরণকারী হিসেবে সাজা পাবে। কারণ, এই মর্মেই ভিন্ডের দাবোহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার বাবা–মা।
জবলপুরের পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ বহুগুনা জানিয়েছেন, ২০ অগস্ট ওই নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর পরিবারের লোকজন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ (অপহরণ) ধারায় এফআইআর দায়ের করেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা জবলপুরে এসে ২৪ বছর বয়সী ওই যুবতীর সঙ্গে কয়েকদিন থাকেন। এর পরই তারা রাজস্থানের ঢোলপুরে চলে যায়। ওদিকে, ওই যুবতীর মা গোহলপুরে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, দু’দিন আগে ওই যুবতী তাঁর মাকে ফোন করে জানায় যে সে আগ্রায় ফেসবুকে আলাপ হওয়া ওই নাবালিকা মেয়েটিকে বিয়ে করেছে। একইসঙ্গে সে জানায় যে তারা দু’জনে সারা জীবন একসঙ্গে থাকতে চায়। ফোন রাখার পরই ওই যুবতীর মা পুলিশকে এ ব্যাপারে জানান। ঢোলপুরে পুলিশের একটি দল দু’জনকে খুঁজে বের করে জবলপুরে নিয়ে আসে।
ওই নাবালিকা ও যুবতী রাজস্থানের ঢোলপুরেই কেন থাকার সিদ্ধান্ত নিল? ওদের সঙ্গে এই কাণ্ডে কি আরও কেউ জড়িত রয়েছে? এ সব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।