বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ইঁদুরের বিষ ফেলে দিয়েছিল বাঁদর, কুড়িয়ে খেতেই মৃত্যু শিশুর, অসুস্থ ২

ইঁদুরের বিষ ফেলে দিয়েছিল বাঁদর, কুড়িয়ে খেতেই মৃত্যু শিশুর, অসুস্থ ২

বাঁদরের ফেলে দেওয়া ইঁদুরের বিষ খেয়ে মৃত্যু শিশুর। প্রতীকী ছবি (PTI)

এদিন দুপুর ১টার দিকে গুড্ডু আলির দুই ছেলে আতিফ আলি ও রাহাত আলি এবং প্রতিবেশী শিশু মান্নাত বাড়ির বাইরের রাস্তায় খেলছিল। পরিবারের সদস্যরা জানান, সেই সময় একটি প্যাকেট পরে থাকতে দেখে ওই তিনজন খাবার ভেবে কুড়িয়ে খেয়ে ফেলে। 

একটি চাঞ্চল্যকর এবং মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁ জেলায়। ইঁদুরের বিষ রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছিল বাঁদর। আর সেই বিষ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৩ শিশু। যার মধ্যে মৃত্যু হল একজনের। এমনই আশ্চর্যজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বদায়ুঁ জেলার বাগরাইনে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। মৃত শিশুর নাম আতিফ আলি (২)। তার দাদা রাহাত আলি (৪) এবং প্রতিবেশী শিশু মান্নাতের (৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  বাঁদরের এমন কাণ্ডে হতবাক সকলেই।

আরও পড়ুন: টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারলেন না দিন মজুর বাবা, মৃত্যু হল ছেলের

কী ঘটেছিল?

জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১টার দিকে গুড্ডু আলির দুই ছেলে আতিফ আলি ও রাহাত আলি এবং প্রতিবেশী শিশু মান্নাত বাড়ির বাইরের রাস্তায় খেলছিল। পরিবারের সদস্যরা জানান, সেই সময় একটি প্যাকেট পরে থাকতে দেখে ওই তিনজন খাবার ভেবে কুড়িয়ে খেয়ে ফেলে। দ্রুত তাদের অবস্থার অবনতি হয়। মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে শুরু করে তিনজনের। স্থানীয়রা তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তারা

পাশে পড়ে থাকতে দেখেন বিষের প্যাকেট। গুড্ডু আলি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দুই ছেলেকে বিশৌলির বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আতিফ মারা গেলে অপর ছেলে রাহাতের অবস্থা চিকিৎসার পর উন্নতি হয়। এদিকে, মান্নাতকে তার পরিবারের লোকজন ঘি দিয়ে বমি করায়। এরফলে তার অবস্থার উন্নতি হয়। তবে আতিফের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কোথাও থেকে ওই বিষের প্যাকেট পেয়েছিল বাঁদরটি। সেটি খাবার ভেবে বাঁদরটি তুলে নিয়েছিল। কিন্তু গন্ধ পেয়ে সেটি পরে ফেলে চলে যায় বাঁদর। শিশুরা সেটিকে খাবার ভেবে কুড়িয়ে নিয়েছিল। এরপর নিজেদের মধ্যে ভাগ করে খেতে শুরু করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্যাকেটে কী বিষ ছিল এবং কীভাবে তা বাঁদরের হাতে এল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের অনুমান, বাঁদরটি হয়তো কারও বাড়ি থেকে প্যাকেটটি তুলে নিয়ে চলে এসেছিল।তবে প্যাকেটের গায়ে কিছু লেখা না থাকায় এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।  

জানা গিয়েছে, গুড্ডু আলি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে আতিফ আলি ছিলেন সবার ছোট। দুর্ঘটনার সময় তাঁর বড় ছেলে আলশাইজও (৮) বাড়ির বাইরে খেলছিল। তবে সে আতিফ ও রাহাতের থেকে কিছুটা দূরে ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাদের পাশেই বিষের খালি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখেন। এলাকার এসডিএম কল্পনা জয়সওয়াল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। কোথা থেকে বিষ এল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

বন্ধ করুন