একের পর এক বিদ্বেষমূলক হামলার শিকার হচ্ছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার নিসের একটি গির্জায় এক মহিলাকে মাথা কেটে খুন করল এক আততায়ী। আরও দু'জনকেও হত্যা করা হয়েছে। আততায়ী ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিসের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এসট্রোসি টুইটারে জানিয়েছেন, এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা। যা শহরের বিখ্যাত ও ঐতিহ্যমণ্ডিত নোত্র দাম গির্জার ভিতরে বা সামনে সেই হামলা চালানো হয়েছে। আততায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
এসট্রোসি জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে গির্জার একজন ওয়ার্ডেন আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এসট্রোসিকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছিল। পাকড়াও করার পরও সেই স্লোগান দিতে থাকে। সাংবাদিকদের এসট্রোসি বলেন, ‘আটক করার সময় সন্দেহভাজন আততায়ীকে গুলি করেছে পুলিশ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সে বেঁচে আছে।’ সম্প্রতি একাধিক ‘ইসলামি সন্ত্রাসের হামলা’-র ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছেন এসট্রোসি। তাঁর কথায়, ‘অনেক হয়েছে। নিজেদের ভূখণ্ড থেকে ইসলামি-ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করার জন্য ফ্রান্সকে এখন শান্তির আইন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন। ইতিমধ্যে সেই ঘটনার তদন্তের জন্য ফ্রান্সের সন্ত্রাসদমন শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসট্রোসি বলেন, ‘কোনও সন্দেহ ছাড়াই বলতে পারি যে কনফ্লান্স-সেন্ট-অনরিনের সাহসী শিক্ষক স্যামুয়েল পেটির ক্ষেত্রে যে পন্থা ব্যবহার করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এটার মিল আছে।’
ক্লাসে হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসের মাঝামাঝি প্যারিসের উত্তর-পূর্ব এলাকার একটি মাধ্যমিক শিক্ষককে খুন করা হয়েছিল। তাঁরও মুণ্ডচ্ছেদ করেছিল আততায়ী।তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ফ্রান্স।