বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Paris Shooting: বড়দিনের আগে রক্তাক্ত প্যারিস, বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ৩, জখম ৪

Paris Shooting: বড়দিনের আগে রক্তাক্ত প্যারিস, বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ৩, জখম ৪

বড়দিনের আগে রক্তাক্ত প্যারিস, বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ৩ (REUTERS)

প্যারিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,ঘটনার নেপথ্যে থাকা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।

বড়দিনের আগেই বন্দুবাজের হামলায় রক্ত ঝরল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। ঘটনায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও ৪ জন। জানা গিয়েছে, ঘটনার নেপথ্যে থাকা বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করেছে প্যারিসের পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর। এই হামলার পিছনে বন্দুকবাজের আসল উদ্দেশ্যর বিষয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। তবে জানা গিয়েছে, হামলাকারী 'বিদেশিদের' লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছিল। জানা গিয়েছে, হামলায় জখম চারজনের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করার পর সংবাদসংস্থা এএফপিকে পুলিশ বলে, 'হামলাকারী পুলিশের জালে। তার থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বিপদ কেটে গিয়েছে।' এদিকে এই হামলার পরই প্যারিসে বসবাসকারী কুর্দিশ সম্প্রদায়ের মানুষজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। জানা গিয়েছে, যে এলাকায় এই হামলা চালানো হয়, সেটি কুর্দিশ অধ্যুষিত। 

জনবহুল এলাকায় গতকাল দুপুর নাগাদ হামলাটি হয় বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে প্রচুর দোকান, রেস্তোরাঁ এবং পানশালা রয়েছে। এক হেয়ার স্যালোঁ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেই স্যালোঁতেই দু'জন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁদের পায়ে গুলি করা হয়েছিল। মোট সাত থেকে আট রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। গুলির শব্দে স্বভাবতই হুলস্থুল কাণ্ড বাঁধে সেই এলাকায়। নিজের প্রাণের ভয়ে স্থানীয় এবং পর্যটকরা ছুটতে থাকেন। অনেকেই কোনও বিল্ডিং বা দোকানে গিয়ে সেখানের দরজা বন্ধ করে দেন ভয়ের চোটে। ঘটনার পর ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানান যে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যেতে চলেছেন।

প্যারিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,ঘটনার নেপথ্যে থাকা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। ইতিমধ্যেই ঘটনার নেপথ্যে থাকা কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্যারিস পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বন্দুকবাজ ফরাসি নাগরিক। ফ্রান্সের ককাস অঞ্চলের বাসিন্দা সে। এর আগেও ২০১৬ এবং ২০২১ সালে দু'বার ধৃত ব্যক্তির নাম খুনের চেষ্টার মামলায় জড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রথম ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। পরে সে আবেন জানিয়ে জেল থেকে মুক্তি পায়। দ্বিতীয় ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বর্ণ বৈষম্যের ভিত্তিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেবার সে শরণার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। তবে সেই মামলা চলাকালীন জামিনে মুক্তি পায় সেই ব্যক্তি। শুক্রবারের ঘটনায় ধৃত ব্যক্তি মুখে চোট পান। তাকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। এদিকে এই হামলার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনও। ফ্রান্সের বিশেষ সন্ত্রাস বিরোধী প্রসিকিউটর এই মামলার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন না আপাতত।

 

বন্ধ করুন