শচিন সাইনি
রাজস্থানের কোটাতে পাঠরত দুই কোচিং ইনস্টিটিউটের তিন ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু। দুটি পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে।প্রসঙ্গত দেশের সবথেকে বড় কোচিং হাব হল রাজস্থানের কোটা শহর। মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য় দলে দলে ছাত্রছাত্রীরা রাজস্থানের কোটাতে গিয়ে পড়়াশোনা করেন। সেই কোটাতেই এই মর্মান্তিক ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কোটার পুলিশ সুপার কেশর সিং শেখওয়াত জানিয়েছেন, বিহারের দুজন ছাত্র কোটাতে একটি নামকরা কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করত। তারা পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকত। তাদের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। একজনের বয়স ১৯বছর ও অপরজনের বয়স ১৮ বছর।
অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনেই একাদশ শ্রেণির ছাত্র। একই জায়গায় তারা পেয়িং গেস্ট হিসাবে তারা থাকত। গত ৬ মাস ধরে তারা ওখানে থাকত। তবে তারা বন্ধু ছিল কি না সেটা দেখা হচ্ছে। পিজির মালিক গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলেন। তারপরই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্য়ে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, পিজির মালিক অনেক ডাকাডাকির পরেও এক ছাত্রের কোনও সাড়়াশব্দ পাননি। এরপরই তিনি দরজা ভেঙে ফেলেন।তারপর তিনি দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে ছাত্রের দেহ ঝুলছে।
এদিকে বিকালে দ্বিতীয় ছাত্রের দিদি তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ওই ছাত্রটি পাশের ঘরেই ছিল। এদিকে সেই ঘরটিও দেখা যায় ভেতর থেকে বন্ধ। তারপরেও তার কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত দরজা ভেঙে দেখা যায় ওই ছাত্রটিও ঝুলছে। এমনটাই জানিয়েছে এসপি।
পুলিশ জানিয়েছে, কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে তাদের মোবাইলগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তিন বছর ধরে তারা কোটাতে থাকত। সম্ভবত কাল রাতে রাতের খাবার খেয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে।
অপরদিকে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এক ছাত্র মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনিও কোটাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তিনি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি।
হেল্পলাইন নম্বর: ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন - ৭৮৯৩০৭৮৯৩০