আর কয়েকদিন পরেই গোয়া সফরে যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী–সহ একঝাঁক রাজনীতিবিদ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–নেত্রীরা কোঙ্কন উপকূলে ঘাঁটি গেরেছেন। এবার ফের রাজনৈতিক স্তরে গোয়ায় বড় সাফল্যের পথে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী ঘটতে চলেছে? সূত্রের খবর, একদা গোয়ার রাজনীতিতে বড় দল মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টি (এমজিপি) তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চলেছে। এই এমজিপি এখন বিজেপির শরিক দল। ফলে ভাঙতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জোট। চলতি সপ্তাহেই তৃণমূল কংগ্রেস–এমজিপি জোটের ঘোষণা হতে পারে। গোয়া বিধানসভায় এমজিপি’র একজন বিধায়ক আছে। ২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে এমজিপি জোট করেছিল বিজেপির সঙ্গে।
এখানে এখন সংগঠন মজবুত করতে পাঠানো হয়েছে লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। এখান থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছে লুইজিনহো ফেলেইরো–কে। লিয়েন্ডার পেজ এবং নাফিসা আলিও গোয়া থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে এবার এমজিপি’র সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জোট হলে সাংগঠনিকভাবে তা মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে গোয়া সফরে যাচ্ছেন। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মাঝেই গোয়ায় সংগঠন শক্তিশালী করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে বিজেপি জোটসঙ্গী হারাতে চলেছে বলেই খবর। এমনকী গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে এমজিপি–কে আসন ছাড়া হবে বলেও খবর।