'ধর্ষণ রুখতে এবং নির্যাতিতার সাহায্যের জন্য ভারতে সঠিক নীতির প্রয়োজন।' আর সেজন্য ব্রিটেনে প্রচার শুরু করল একটি ‘অরাজনৈতিক’ দল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি তুলে ধরার ফলে ধর্ষণ রুখতে ভারতের উপর চাপ বাড়বে বলে মত সদস্যদের।
‘রেপ ফ্রি ইন্ডিয়া’ (RapeFreeIndia বা ধর্ষণ-মুক্ত ভারত) নামক সেই দলের তরফে জানানো হয়েছে, পুরোটাই অরাজনৈতিক প্রয়াস। তাতে সামিল আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলারা। যাঁরা প্রশাসন, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেন। প্রচারের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ২,০০০ ইউরো জোগাড় করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে সোমবার (১৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সচেতনতামূলক প্রচার। ‘হোয়াইট রিবন ইউকে’-র সহায়তায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই প্রচার চলবে। ইতিমধ্যে রিজেন্টস পার্ক, চক ফার্ম এবং কেনিংটন স্টেশনে তা নিয়ে বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে।
লন্ডনের বাসিন্দা রুহি ঘাউস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি তুলে ধরার ফলে ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধ রুখতে, (সরকারের) কৌশল পর্যালোচনা এবং নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিচারব্যবস্থা পর্যন্ত দ্রুত মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি মজবুত ব্যবস্থা তৈরি করা এবং হুমকি দেওয়া হলে (নির্যাতিতার) পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার মতো বিষয়গুলির জন্য ভারতের উপর চাপ তৈরি হবে।’
সেই দলের সদস্য রেখা শর্মা জানিয়েছেন, মহিলাদের সুরক্ষার মূল বিষয়টি যাতে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারের ধারেকাছে রাজনীতিকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশের ১৫০ জনেরও বেশি অর্থ সাহায্য করেছেন। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ লীনা বলেন, ‘ভারতে ধর্ষণের ঘটনার বৃদ্ধি এবং ঘৃণ্য ধর্ষণের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত বিচলিত। আমরা মোটেও চাই না যে ভারতকে মহিলাদের জন্য অসুরক্ষিত দেশ বা ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে দেখা হোক। ভারতের কত কিছু আছে এবং আমরা এভাবে (ধর্ষণের রাজধানী) পরিচিত হতে চাই না।’