যখন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গোয়ায় পা রাখতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব, তখন থেকেই তাঁদের বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমরা এখানে থাকতে এসেছি।’ ২০২১ সালে প্রস্তুতি নিয়ে অবশ্য ২০২২ সালের নিরবাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষের ভোট পেলেও কোনও আসন জোটেনি ঘাসফুল শিবিরের কপালে। তবে বিধানসভা ভোটে ধরাসায়ী হওয়ার পরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গিয়েছিব আত্মসমীক্ষার কথা। যা থেকে পরিষ্কার হয়েছিল যে আগেরবারের মতো এবার আর একটা ভোটে লড়ে গোয়া থেকে তলপিতলপা গোটাবে না তৃণমূল। এবং সেই ইঙ্গিতকে সত্যি করেই এবার গোয়ার পঞ্চায়েত ভোটে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধানসভা ভোটে শূন্য পেয়েও দমতে নারাজ তৃণমূল। এই আবহে শনিবার গোয়ায় এক ঘরোয়া বৈঠকে তৃণমূলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামী মাসের পঞ্চায়েত ভোটে অংশগ্রহণ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিনের বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা থাকলেও তিনি শেষ পর্যন্ত বৈঠকে যোগ দেননি। তবে বৈঠকে ছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, তৃণমূলের গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৌরভ চক্রবর্তী ও হরিয়ানার নেতা অশোক তানোয়ার।
উল্লেখ্য, ভোটে হেরেও এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের ২৫ জন প্রার্থীর কেউই দল ছাড়েননি। এই আবহে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূলের জাতীয় স্তরের নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নিচু তলার কর্মীরা কাজ শুরু করে দেয়। এদিকে পঞ্চায়ের ভোটে এমন সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যেখান জেতা সম্ভব বা কড়া লড়াই দেওয়া যায়।