আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে রাস্তায় খোলা অবস্থায় বা সর্বজনীন স্থানে মাংস বিক্রির অনুমতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজ্যে পৃথকভাবে কসাইখানা স্থাপনের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রস্তুত করতেও বলেছে উচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মোহান্তি এবং বিচারপতি এসজি চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে ছয় মাসের মধ্যে এই নির্দেশিকা কার্যকর করার জন্য বলেছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট অঙ্কন তিলক পাল একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে লাইসেন্সকৃত প্রাঙ্গনে স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রেখে মাংস বিক্রি করা হয়। সার্বজনীন স্থান অথবা রাস্তায় মাংস বিক্রির অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’ আদালত আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে বিপন্ন প্রজাতির পশু হত্যা রুখতেও পদক্ষেপ করতে বলেছে। আদালতের তরফে কর্পোরেশনকে বলা হয়েছে যাতে তারা বন বিভাগকে এই বিষয়ে জানায়। যাতে বিভাগ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যাতে আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে সহায়তা করে, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চ আদালতের তরফে।
এই আবহে এএমসি পৌর কমিশনার ডঃ শৈলেশ কুমার যাদব আদালতকে জানান যে ২১ ফেব্রুয়ারি একটি কসাইখানা নির্মাণের জন্য একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। দরপত্র চূড়ান্ত হলে ১৮ মাসের মধ্যে কসাইখানার নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে, মোট ১৩৯ জনকে মাংস বিক্রির ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে এএমসি।