পঞ্জাব কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ক্ষমতা দখলের লড়াই কোনও ভাবেই থামছে না। বরং নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সিধু বনাম ক্যাপ্টেনের এই রেশারেশিতে অস্বস্তিতে কংগ্রেসের হাইকমান্ড। এরই মাঝে দলের অন্দরে নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে বৃহস্পতিবার এক নৈশভোজের পার্টির আয়োজন করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। সিধুকে বার্তা পাঠিয়ে এদিন নিজের বাসভবনে ৫৫ জন বিধায়ক এবং ৭ জন সাংসদকে একজোট করেন ক্যাপ্টেন।
উল্লেখ্য, পঞ্জাবে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৮০ এবং সাংসদ সংখ্যা ১১। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ যে এখনও ক্যাপ্টেনের ছত্রছায়ায় আস্বস্ত, সিধুকে এই বার্তা পাঠাতেই বিশেষ ডিনার পার্টির আয়োজন করেন ক্যাপ্টেন। এই বিষয়ে পঞ্জাবের যুব এবং খেল বিষয়ক মন্ত্রী রানা গুরমীত সিং সোধি বলেন, 'আমরা সমমনস্ক আইন প্রণেতাদের ডেকেছিলাম। যাঁধের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছি, তাঁরা সবাই এসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের আস্থা বজায় থাকার বার্তা দিয়েছেন। আমরা তাঁর নেতৃত্বেই ২০২২ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করব।'
প্রসঙ্গত, এই নৈশভোজের কয়েক ঘণ্টা আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল মন্ত্রি পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠক। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সিধু ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিন মন্ত্রী - গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী তৃপ্ত রাজিন্দর সিং বাজওয়া, কারা এবং সমন্বয় মন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রান্ধাওয়া, জল সম্পদ মন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সরকারিয়া। এই তিন মন্ত্রী বুধবার দেহরাদূনে গিয়ে পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা হরিষ রাওয়াতের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা রাওয়াতকে জানান যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাঁরা আস্থা হারিয়েছেন। তবে রাওয়াত তাঁদের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ২০২২ সালের নির্বাচন কংগ্রেস ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বেই লড়বে।
এদিকে সিধুর দুই উপদেষ্টাকে অপসারণের নির্দেশ দেন রাওয়াত। উল্লেখ্য, কাশঅমীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অন্দরেই তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল সিধুর দুই উপদেষ্টা মলবিন্দর সিং মালি এবং প্যারে লালকে। কাশ্মীরকে 'পৃথক' বলে উল্লেখ করায় ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সরকারি ভাবে বিবৃতি পেশ করে দুই জনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এই আবহে মলবিন্দর সিং মালি এবং প্যারে লাল কংগ্রেসের নিয়োগ করা কেউ নয় বলে উল্লেখ করেন হরিষ রাওয়াত। এতে আরও চাপ বাড়ে সিধউর উপর। এই পরিস্থিতিতে দলের অন্দরে নিজের প্রভাব আরও একবার বুঝিয়ে দিতেই গতরাতে নৈশভোজের আয়েজন করেন ক্যাপ্টেন।