রাজবাড়ির গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মার দুটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ২০০ টাকায়। ইলিশ দুটির ওজন ছিল প্রায় চার কেজি। আজ শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মৎস্য আড়তে মাছ দুটি উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়।
এই যুগের ইলিশপ্রেমীদের সবচেয়ে বড় দুঃখ কী জানেন? বড়, এক-দেড় কেজির ইলিশ পাওয়া এখন বেশ বিরল ব্যাপার। সাধারণ, ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশেরই আকাশছোঁয়া দাম। ছোট ইলিশে সেই আসল স্বাদটা যেন ঠিক পাওয়া যায় না। আরও পড়ুন: গরম ভাতের সঙ্গে জমে যাবে দই-পোস্ত ইলিশ! বানিয়ে ফেলুন ১৫ মিনিটে
বড় আকারের ইলিশে কাঁটা তুলনামূলকভাবে কম। বড় পিস হবে। তাছাড়া ইলিশে ফ্যাটের পরিমাণও বেশি থাকে। ভাজার সময়ে সেই সুগন্ধী তেলের গন্ধে পাড়া মাত করে দেয়। কিন্তু তেমন বড় ইলিশ আর এখন পাওয়াই যায় না। তাছাড়া বড় ইলিশ পেলেও তার দাম থাকে অধিকাংশের সাধ্যের বাইরে।
সেখানে যদি প্রায় ২ কিলো ওজনের ইলিশ হয়? এমন বড় আকারের ইলিশের দাম যে অনেকটাই বেশি হবে, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তাই বলে ১৭,২০০ বাংলাদেশি টাকা! হ্যাঁ, এমনই চড়া দামে মোট ৪ কিলো ওজনের দুইটি ইলিশ বিক্রি হল বাংলাদেশে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৩,৪৬৭ টাকা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে এই দুই পদ্মার ইলিশ বিক্রি হয়। এমনিতেই মাছের আড়তে নিলাম করে মাছ বিক্রি হয়। এক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মৎস্য আড়তে এই দুই মাছ আলাদা করে নিলাম করা হয়।
দৌলতদিয়া ঘাটের মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের কাছে এই ইলিশ দু'টি জালে ওঠে। শনিবার সকালে দুলাল মণ্ডলের আড়তে এই দুই মাছ নিয়ে আসা হয়। নিলামে এলাকার বড় মত্স্য ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মহম্মদ শাহজাহান শেখ মাছ দু'টি ৪ হাজার টাকা কেজি দরে কেনেন। মোট দাম দাঁড়ায় ১৬ হাজার টাকা(বাংলাদেশি)।
কেনার সঙ্গে সঙ্গে ফোনে পরিচিতদের এই বিষয়ে জানিয়ে দেন। ক্রেতা খুঁজতে শুরু করেন। এমন খবর ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। এদিন সকালেই ঢাকার এক ব্যবসায়ী প্রতি কেজি ৪ হাজার ৩০০ টাকা দিতে রাজি হয়ে যান। তিনি ১৭ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে মাছ দুইটি কিনে নেন(ভারতীয় মুদ্রায় ১৩,৪৬৭ টাকা)।
এখন কেন এমন বড় ইলিশ পাওয়া যায় না?
আসলে এক সময়ে এমন দেড়-দুই কেজির মাছ কোনও ব্যাপারই ছিল না। কিন্তু অতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে বড় মাছের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। ছোট অবস্থাতেই ধরে নেওয়া হচ্ছে ইলিশ মাছ। ডিম-সহ মাছও অনেক বেশি পরিমাণে ধরা হয়। আর সেই কারণে বড় ইলিশের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ যদিও এই বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেই দেশে। ফলে মাছের প্রজনন, বেড়ে ওঠার চক্রে বাধা পড়ার ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। আর সেই কারণে মাছ বড় হতে পারছে। সময়ের সঙ্গে পদ্মায় বড় ইলিশের সংখ্যা বাড়ছে। আরও পড়ুন: টাটকা ইলিশ কী করে চিনবেন! দেখে নিন ৫ উপায়
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup