গত বৃহস্পতিবারই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, এই মুহূর্তে ইউক্রেনে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানো নিয়ে কিছু ভাবছে না সরকার। তবে চারদিন পরই সেদেশে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের দূতাবাসের তরফে ‘পরামর্শ’ দেওয়া হল, ‘আর অপেক্ষা না করে এখনই দেশ ছাড়ুন।’
একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় দূতাবাস বলে, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনলাইন ক্লাস করাবে কি না তা নিশ্চিত করতে চেয়ে প্রচুর সংখ্যক কল আসছে ভারতীয় দূতাবাস। এই বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছে, দূতাবাস ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রক্রিয়াকে সুগম করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে চলেছে। শিক্ষার্থীদের তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই অস্থায়ীভাবে ইউক্রেন ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করা ঠিক হবে না।’ এদিকে বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি এই বিষয়ে বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, ভারত সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সমস্ত ভারতীয় (ইউক্রেনে বসাবসরত) আমাদের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ রাখুন।’
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া প্রাথমিক ভাবে ইউক্রেন থেকে তিনটি বিমান করে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর ঘোষণা করেছিল। এদিকে চার্টার্ড ফ্লাইটের টিকিটের দাম নাগালের বাইরে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনে বসাবসরত বহু ভারতীয় পড়ুয়া। পাশাপাশি দেশে ফেরার টিকিটও মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তি আরও বিমান পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে ইউক্রেনে ভারতের প্রথম বিশেষ বিমান ইতিমধ্যেই অবতরণ করেছে। আজই রাতে এই বিমানটির ২০০ ভারতীয়কে নিয়ে দেশে ফেরার কথা।