অস্ত্র-সহ আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করলেন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম-ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর (ULFA) প্রাক্তন স্বঘোষিত কম্যান্ডার-ইন-চিফ দৃষ্টি রাজখোয়া এবং চারটি চরমপন্থী সংগঠনের ৬২ জন বিদ্রোহী। সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের সামনে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন।
রকেট নিয়ন্ত্রিত গ্রেনেডের বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত রাজখোয়া উলফা প্রধান পরেশ বরুয়ার পরেই সংগঠনের দ্বিতীয় প্রধান নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত নভেম্বর মাসে তিনি মেঘালয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল, গ্রেনেড-সহ প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়েছেন আত্মসমর্পণকারী উলফা জঙ্গিরা। তাঁদের সঙ্গে অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করেছেন উলফা-আই, ইউনাইটেড পিপলস’ রেভলিউশনারি ফ্রন্ট (UPRF), ডিমাসা ন্যাশনাল নিবারেশন আর্মি (DNLA) এবং পিপলস’ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল অফ কার্বি লোংরি (PDCK) সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য।
গুয়াহাটির শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল বলেন, ‘দেখে ভালো লাগছে যে, অসমের অসংখ্য সন্তান যাঁরা রাষ্ট্র-বিরোধী কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা মূলস্রোতে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং দেশ গঠনের কাজে ব্রতী হয়েছেন। আমি তাঁদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব যাঁরা হিংসার পথ ত্যাগ করেছেন, তাঁদের যথাযথ পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে। আজ যাঁরা অস্ত্র সমর্পণ করলেন, তাঁদের সবাইকে আমাদের সরকারের একাধিক সহায়ক প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয় বার চরমপন্থীদের অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হল অসমে। গত জানুয়ারি মাসে তৃতীয় বোড়ো শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পরে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ড-এর (NDFB) মোট ১,৬১৫জন সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করেন।
ওই মাসেই ULFA-I, NDFB (S), কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া-মাওইস্ট, ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ বেঙ্গলিজ, রাভা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট, ন্যাশনাল সাঁওতাল লিবারেশন আর্মি ও আদিবাসী ড্রাগন ফাইটার সংগঠনের মোট৬৪৪ জন জঙ্গি অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করেন।