এবার বাজেটে নয়া আয়কর কাঠামোর ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাড়ানো হয়েছে আয়কর ছাড়ের সীমা। আবার করযোগ্য আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের স্তর কমিয়ে পাঁচটি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সীতারামন জানিয়েছেন, যাঁরা পুরনো আয়কর কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান, তাঁরা সেটা করতে পারবেন। তবে সুযোগ-সুবিধা মিলবে নয়া কর কাঠামোয়।
নয়া কর কাঠামোয় কতটা লাভ হবে, তা নিজের বাজেট ভাষণে জানিয়েছেন সীতারামন। ৮৭ মিনিটের বাজেটের শেষলগ্নে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন জানান, যাঁদের বার্ষিক আয় (মোট আয় বা Gross Income) নয় লাখ টাকা, তাঁদের আয়কর বাবদ মাত্র ৪৫,০০০ টাকা দিতে হবে। যা তাঁর আয়ের মাত্র পাঁচ শতাংশ। আপাতত তাঁকে আয়কর বাবদ ৬০,০০০ টাকা দিতে হয়। অর্থাৎ একলপ্তে ২৫ শতাংশ কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
পুরনো কর কাঠামো
নতুন কর কাঠামো (২০২০ সালের বাজেটে ঘোষণা)
নতুন কর কাঠামো (সংশোধিত - ২০২৩ সালের বাজেটে ঘোষণা)
করের হিসাব
ইওয়াই ইন্ডিয়ার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যে বেতনভোগীদের বার্ষিক আয় ১৫.৫ লাখ টাকার বেশি, তাঁদের সর্বাধিক ছাড় ও ডিডাকশন যদি ৪.২৫ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে নয়া অর্থবর্ষ থেকে পুরনো কর কাঠামোয় তাঁদের কম আয়কর দিতে হতে পারে। পুরনো এবং কর কাঠামোয় যদি সমপরিমাণে কর দিতে হয়, তাহলে বেতনভোগীদের সর্বোচ্চ কত টাকা ডিডাকশন ক্লেম করতে হবে, সেটিও বিশ্লেষণ করেছে ওই সংস্থা।
১) যাঁদের বার্ষিক আয় ৭.৫ লাখ টাকা, তাঁদের পুরনো কর কাঠামোয় ২.৫ লাখ টাকা ডিডাকশন ক্লেম করতে হবে, তাহলে পুরনো কাঠামোর আওতায় কোনও কর দিতে হবে না।
২) যে বেতনভোগীদের বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকা, তাঁরা যদি পুরনো কাঠামোর আওতায় তিন লাখ টাকা ডিডাকশন ক্লেম করেন, তাহলে তাঁদের আয়কর বাবদ ৫৪,৬০০ টাকা দিতে হবে। যে অঙ্কটা দিতে হবে নয়া কর কাঠামোয়।
৩) যাঁদের বার্ষিক আয় ১২.৫ লাখ টাকা, তাঁদের পুরনো বেতন কাঠামোর আওতায় ৩,৬২.৫০০ টাকা ডিডাকশন ক্লেম করতে হবে। তাহবে আয়কর বাবদ ৯৩,৬০০ টাকা দিতে হবে। যা নয়া কাঠামোর সমান।
৪) যে বেতনভোগীদের আয় ১৫ লাখ টাকা, তাঁরা ৪,০৮,৩৩২ টাকা ডিডাকশন ক্লেম করলে পুরনো এবং নয়া কাঠামোর আওতায় সমপরিমাণ কর দিতে হবে। যে অঙ্কটা হল ১,৪৫,৬০০ টাকা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)