ধর্মগ্রন্থগুলি মনে শক্তি যোগায় আশার সঞ্চার করে। তাই ওষুধের সঙ্গে এবার রোগীদের নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কানপুরের এক চিকিৎসক। হৃদরোগের ওই চিকিৎসক রোগীদের নিয়ম করে রামায়ণ ও গীতা পড়তে পরামর্শ দিচ্ছেন।
কানপুরের লক্ষ্মীপত সিংহানিয়া ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড কার্ডিয়াক সার্জারির হার্ট সার্জন, চিকিৎসক নীরজ কুমার, অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য তার রোগীদের ভগবত গীতা, হনুমান চাল্লিসা এবং রামায়ণ পড়তে পরামর্শ দিচ্ছেন।
কী তার যুক্তি? ডাঃ কুমারের কথায়, ‘ধর্মীয় বই রোগীদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করে, এবং চিকিৎসার সময় তাদের মনোবল বাড়ায়।’
প্রায় এক বছর ধরে তিনি রোগী এই পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘হার্টের অসুখ বা অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্যই হোক না কেন, ওষুধের সঙ্গে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, ‘ রোগ ধরা পড়লে, রোগী তাঁর চিকিৎসা ও পরিবার নিয়ে মানসিকভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে গীতা, সুন্দরকাণ্ড হনুমান চাল্লিশা এবং রামায়ণ পাঠ রোগীকে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে। যা তাঁর স্বাস্থ্যের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
(পড়তে। আয়ুষ্মান ভারতের ১১৩ কোটি আটকে দিল সরকার, বিরাট অনিয়মের অভিযোগ)
চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর এই পদ্ধতিতে সুফলও মিলেছে। ডাঃ কুমারের দাবি, ‘যে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় ধর্মীয় বই পড়েন, দেখা গিয়েছে তাদের ছাড়ার সময় অন্যান্য রোগীদের তুলনায় বেশি খুশি থাকেন।’ চিকিৎসক নিজেই রোগীদের ধর্মীয় বইগুলি রোগীদের কিনে দেন।
তিনি জানিয়েছেন, আগে ওই হাসপাতালে রোগীদের পড়ার জন্য সাংবাদপত্র দেওয়া হতো। তবে তিনি তাতে বদল এনেছেন। চিকিৎসক নীরজ কুমারের বলেন, ‘আগে রোগীদের পড়ার জন্য খবরের কাগজ দেওয়া হতো। তাতে দেখা গিয়েছে রোগীরা সে ভাবে উৎসাহ পান না। কাগজ পড়েই থাকে। তার পর আমি রোগীদের ধর্মীয় বইগুলো দিতে শুরু করি। তাতে দেখা যায় তাঁরা অনেকটাই ভালো মনে বাড়ি ফেরেন।’
(পড়ুন। ৪৫দিন ধরে শিশুর জ্বর, অভিভাবকরা কী করছিলেন? চিকিৎসককে রেহাই দিল সুপ্রিম কোর্ট)
ওষুধের পাশাপাশি রোগীদের চাঙ্গা রাখতে নানা ধরনের থেরাপি ব্যবহার করে থাকেন চিকিৎসকরা। সে ক্ষেত্রে ধর্মগ্রন্থকেই থেরাপি হিসাবে ব্যবহার করছেন ডাঃ নীরজ কুমার।