উৎকর্ষ আনন্দ
শিশুর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে যদি অভিভাবকরা উদাসীন থাকেন তবে চিকিৎসককে দোষারোপ করা যাবে না। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দু দশকে পুরানো একটা কনজিউমার মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও উজ্জ্বল ভুয়ান দেখেছেন যে ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে ২ বছরের এক শিশুকে কানপুরের এক শিশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তার অভিভাবকরা। কারণ গত ৪৫ দিন ধরে শিশুর জ্বর হচ্ছিল। পরে দেখা যায় তার ম্য়ানেনজাইটিস হয়েছে। এতে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়।
এদিকে সেই মামলা প্রসঙ্গে অ্য়াডভোকেট নম্রতা ছান্দোরকরকে বিচারপতি জানিয়েছেন, শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে ৪৫দিন দেরি করলেন। আর বলছেন চিকিৎসক অবহেলা করেছেন। এক সপ্তাহ পরে কেন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাননি? আমরা বলছি কেউ যদি অবহেলা করেন সেটা আপনারা করেছেন, আপনারা অভিভাবকরা করেছেন।
সেই শিশুর বয়স বর্তমানে ২৩ বছর।
আইনজীবী বলেন, চিকিৎসক শিশুর মেডিকেল ইতিহাস জানতেন। তারপরেও তিনি অবহেলা করেন। তাকে অ্য়ান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি ম্যালেরিয়ার ওষুধ খেতে দেন। কোনও প্যাথলজিকাল পরীক্ষাও করতে দেননি। তিনি ম্য়ালেরিয়ার ওষুধ দিচ্ছিলেন।
এরপর বিচারপতি বলেন, ৪৫দিন ধরে জ্বর। আর তার দায় কেবলমাত্র ডাক্তারের? এই মামলায় চিকিৎসককে দোষ দেওয়া যাবে না। এদিকে এর আগে কানপুর কনজিউমার ফোরাম দু লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল। সেটা বহাল রাখার জন্য আবেদন করেন আইনজীবী।
তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, ওই নির্দেশকে বহাল রাখার অর্থ হল ডাক্তারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করা। ন্যাশানাল কনজিউমার কমিশনের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি আদালাত। সেই কমিশন জানিয়েছিল, চিকিৎসকরা প্রথম অ্য়ান্টিবায়োটিকসই দেন। ম্যানেনজাইটিস বোঝা না গেলে চিকিৎসক সেই ওষুধ দেন না। সেকারণে এটা মেডিক্যাল নেগলিজেন্স নয়।