২০০৮ সালের মুম্বইতে জঙ্গি হানা। সেই হামলায় নাম জড়িয়েছিল কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর রানার। আদপে তিনি পাকিস্তানের। তবে তাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু মার্কিন আদালত তাতে এবার স্থগিতাদেশ দিল।
৬২ বছর বয়সি ওই ব্যবসায়ী। তিনি প্রত্যর্পণ আটকাতে সার্কিট কোর্টে আবেদন করেছিলেন। এদিকে সেই হামলার ঘটনায় জঙ্গি ডেভিড কোলেমান হেডলির যোগ ছিল বলে খবর। সে ছিল এই ঘটনার অন্য়তম বড় চক্রী। এদিকে বাইডেন প্রশাসন এর আগে রানা যে পিটিশন দাখিল করেছে সেটাকে নাকচ করার ব্যাপারে আবেদন করেছিল।
বিচারপতি জানিয়েছিলেন, রানা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিরিয়াস ইস্যুকে সামনে এনেছেন। একাধিক আইনগত প্রশ্নকেও সামনে এনেছেন। তবে রানার সব যুক্তির মধ্যে যে আদালত সারবত্তা খুঁজে পেয়েছে এমনটাও নয়।
বিচারপতি লিখেছেন, ভারত যে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছে তার মধ্য়ে একটা যুক্তি রয়েছে। কিন্তু রানার প্রত্যর্পণের এই যে পদ্ধতি তার মধ্যে তিন বছরের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। সেক্ষেত্রে একদিনে সব হয়ে যাবে এমনটা নয়। আদালত রানাকে জানিয়েছে, ১০ অক্টোবরের মধ্য়ে তাদের যুক্তি আদালতের সামনে হাজির করতে হবে। আর ৮ নভেম্বরের মধ্য়ে মার্কিন সরকারকে তার জবাব দিতে হবে।
তবে তার মধ্য়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রানাকে ভারতে ফেরত আনতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নানা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমেও এই চেষ্টা চলছে। জঙ্গি যোগ থাকা রানাকে ভারতে আনাটা এখন বড় চ্য়ালেঞ্জ। ২০০৮ সালে ভারতে জঙ্গি হানার মাধ্য়মে বিরাট হিংসা ছড়ানোর ছক কষেছিল যারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।
তবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতের প্রত্যর্পণ নিয়ে আবার অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনিয়ে এল। ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা বিচারক গত ১৮ অগস্ট রানার ভারতে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বলে খবর। এদিকে নবম সার্কিট আদালতে রানা আর্জি জানিয়েছেন। তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত প্রত্যর্পণ স্থগিত।