এক মার্কিনি সৈনিক কোরিয়া সীমান্ত পার করে কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ার ভিতরে ঢুকে পড়েছেন বলে খবর। মার্কিনি অফিশিয়ালদের মতে তিনি উত্তর কোরিয়ার ভিতর এবার শাস্তির মুখে পড়েছেন। এদিকে, মার্কিনি সেনার এভাবে সীমানা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়াতে প্রবেশ ঘিরে ফের একবার আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার মতো নিউক্লিয়ার শক্তিধর দেশের সঙ্গে আমেরিকার মতো সামরিক শক্তিতে সুঠাম দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে এই নয়া ঘটনা কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
মার্কিন সেনা জানতে পেরেছে তাদের দেশের কোনও এক সৈনিক বেড়াতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার সীমানা পার করে সেই দেশে বৈধ পথ ছাড়াই ঢুকে পড়েছে। স্বভাবতই তা কিম জম উনের শাসনে থাকা উত্তর কোরিয়ার পছন্দ হয়নি। সেদেশের নিয়ম মেনে ওই সৈনিককে পড়তে হয়েছে বড়সড় সমস্যায়। কারণ সেদেশের অন্দরে তাঁকে বিধি মেনে আইনি পদক্ষেপের মুখে পড়তে হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওই মার্কিনি সৈনিক উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছে। এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্র দাবি করেছে, ওই মার্কিনি সৈনিকের নাম ট্রাভিস কিং। তিনি মার্কিনি সেনার প্রাইভেট সেকেন্ড ক্লাস সৈনিক বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই খবর অনলাইনে প্রকাশের খানিক পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার ওই সংবাদপত্র ওই সৈনিকের নাম সরিয়ে দেয় প্রকাশনা থেকে।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ওই সৈনিকের নাম এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে কয়েকজন আমেরিকার সৈনিক যাঁরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তাঁরা দাবি করেছেন যে, ওই সৈনিক বড়সড় কোনও নিয়মানুবর্তিতাধর্মী শাস্তির মুখে পড়তে পারেন। তৃতীয় মার্কিন অফিশিয়াল বলেছেন যে সৈন্য 'ইচ্ছাকৃত এবং অনুমোদন ছাড়াই' উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিল। এদিকে, সিবিএসের খবর প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে সামরিক কর্মীরা লোকটির ক্রিয়াকলাপের জন্য কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পদক্ষেপ করলেও, তবে তা প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তিকর ছিল। এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন মার্কিনি পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত বালাস্টিক মিসাইল সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করছে। ফলে কূটনৈতিক পরিস্থিতি ঘিরে রয়েছে বহু জটিলতা।