ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের একটি নির্মানাধীন টানেলে নামল ভয়াবহ ধস। ঘটনায় অন্তত পক্ষে ৩৬ জন শ্রমিক আটকে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিল্কইয়ারা এবং দন্ডলগাওঁয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল এই টানেলটি। রবিবার খুব ভোরে সেই টানেলে ধস নামে। এই গোটা টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা বলে জানা গিয়েছে। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধসটা নামে আজ সকাল টে নাগাদ। সেই সময়ই সেখানে আটকে পড়েন অন্তত ৩৬ জন শ্রমিক। (আরও পড়ুন: পুরীর জনগন্নাথ মন্দিরে হুলস্থুল কাণ্ড, পদপিষ্ট হয়ে আহত ৩০ ভক্ত)
জানা যায়, ধসের খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উত্তরকাশির পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী। তাঁর তদারকিতেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল শুরু করে উদ্ধারকাজ। জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মীরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। জানা গিয়েছে, টানেলের শুরুর বিন্দু থেকে ভিতরের দিকে প্রায় ১৫০ মিটার জমি ধসে পরে ওপর থেকে। অর্থাৎ, টানেলের ছাদ ধসে পড়ে। তাতেই আটকা পড়ে যান শ্রমিকরা। এই আবহে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা বেলা ১২টা পর্যন্ত জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কটি চারধাম রোড প্রোজেক্টের অংশ। এই সড়ক সারা বছর সব ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চালু থাকার কথা। এই সড়কটি তৈরি হলে উত্তরকাশি এবং যমুনোত্রীর মধ্যে যারাপথ ২৬ কিলোমিটার কমে আসবে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। আটকে পড়া শ্রমিকদের যাতে সুস্থ ভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়, সেই প্রার্থনা করেন তিনি। এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ২০০ মিটার পাথরের স্ল্যাব সরিয়ে তারপরে শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তবে শ্রমিকরা যাতে শ্বাসরোধ হয়ে অসুস্থ হয়ে না পড়েন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই টানেলে অক্সিজেনের নল ঢোকানো সম্ভব হয়েছে। সেই নল দিয়ে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভিতরে। তবে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হতে কতক্ষণ লাগতে পারে, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি কেউ।