ওমিক্রনের আতঙ্ক কাটিয়ে এবার ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা। সংসদে একথা জানালেন অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি বলেন, গত সাতদিন ধরে আমরা দেখছি ৩.২৮ লাখ যাত্রী রোজ গড়ে যাতায়াত করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ সালে বিমান পরিবহণের যাত্রী সংখ্যা আরও বৃদ্ধির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশা, ফের বিমান পরিবহণ ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা ২০২৩-২৪ সালে যাত্রী সংখ্যা ৪০ কোটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিডের আগে যাত্রী সংখ্যা যত ছিল তার থেকে মাত্র ৫ শতাংশ দূূরে রয়েছি আমরা। যখন বলা হচ্ছে যে বিমান পরিববণ শিল্পে নানা ডামাডোল চলছে তখনই দুটি নতুন এয়ারলাইন্স আসছে। এদিকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে মোট ৭৪টি বিমানবন্দর ছিল। গত সাত বছরে ৬৬টি নতুন বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে গোটা দেশে বিমানবন্দরের সংখ্যা ১৪০। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এই বিমানবন্দরের সংখ্যা ২২০টি করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিমান পরিবহণ সেক্টরকে বর্তমানে ভারতীয় রেলের এসি-১ ও এসি-২ পরিষেবার সঙ্গে আমরা তুলনা করতে পারি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা ১৩টি নতুন গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্ট চাইছি। পাশাপাশি পার্বত্য এলাকা হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের জন্য উড়ান প্রকল্পে হেলিকপ্টার পরিষেবাও চালু হবে।