জাতীয় সড়কের পাশে মদের দোকান, যা নেশা করে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এই নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে আদালতে। ধর্মীয় স্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কতটা দূরে মদের দোকান থাকা উচিত তা নিয়েও বিস্তর মামলা সুপ্রিম কোর্টের কাছে অস্বস্তির কারণ। এ নিয়ে একাধিক আদেশে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। এই অস্পষ্টতা কাটাতে ২০১৬ সালে থেকে এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের বিভিন্ন রায় নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন ধনঞ্জয় মহাপাত্র।
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের একটি বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের একাধিক আদেশের এই মধ্যে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে নতুন করে দুটি পিটিশনের মুখোমুখি হল। যার মধ্যে একটি হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও মসজিদের ৫০০ মিটারের মধ্যে মদের দোকান চালানোর পুরসভার অনুমতি না দেওয়া এবং অন্যটি ১৫০ মিটারের বাইরে দোকান চালাতে অনুমতি দেওয়া।
পড়ুন। পশ্চিমী দেশের মতো নয়! বিবাহের মতো প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হবে, বলল সুপ্রিম কোর্ট
লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান মালিকদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রবীণ আইনজীবী পি বি সুরেশ, আইনজীবী বিপিন নায়ার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমণি বলেন, পুদুচেরির মতো একটি ছোট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৫০০ মিটার দূরত্বের রাখা হয় তবে পুরো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও মদের দোকান থাকবে না। উপরন্তু, তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট তার আগের আদেশে পুর কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় সংস্থার নিয়ম-কানুন অনুযায়ী এই জায়গাগুলি থেকে মদের দোকানগুলির দূরত্ব নির্ধারণ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তার ২৯ জানুয়ারির আদেশে বলে, সুপ্রিম কোর্ট তার ২০ মার্চ, ২০২৩-এর রায়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় যে কোনও জাতীয় বা রাজ্য মহাসড়কের বাইরের প্রান্তের ৫০০ মিটারের মধ্যে বা মহাসড়ক বরাবর কোনও সার্ভিস লেনের মধ্যে কোনও মদের দোকান স্থাপন করা যাবে না। পরবর্তী আদেশে, শহরের জনসংখ্যা ২০,০০০-এর কম হলে এই দূরত্ব কমিয়ে ২২০ মিটার করা হয়।
পড়ুন। এক দেশ এক ভোট, এক সুরে আপত্তি সিপিএম-তৃণমূলের, মিটিং হল কোবিন্দ কমিটির সঙ্গে
২০২৩ সালের মার্চ মাসে, ২০১৬ সালে কে বালু মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মন্দির, মসজিদ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫০ মিটারের মধ্যে মদের দোকান সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল।